যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পাল্টা হামলার প্রসঙ্গ টেনে এই যুবক বলেন, এখনো তাঁদের বোমা তৈরির দক্ষ কারিগর আছে। আছে আত্মঘাতী গাড়ি। এগুলো বেশ কার্যকর এবং এ দিয়ে শত্রুপক্ষকে ভয়ও পাইয়ে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যখন বিমান হামলা শুরু করে, তখন তাদের এসব গাড়ি শত্রুপক্ষকে আঘাত করার আগেই নাই হয়ে যায়। তাই এখন তাদের এসব অস্ত্র আর তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না। আর দিন দিন স্বেচ্ছায় আত্মঘাতী হওয়ার পরিমাণও কমে যাচ্ছে। সম্প্রতি প্যারিস ও ব্রাসেলস হামলার ঘটনায় সিরিয়াফেরত আইএস যোদ্ধাদের দায়ী করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, বেলজিয়ামের মাধ্যমে ইউরোপে ইসলামি সন্ত্রাসবাদের শিকড় গাড়ার চেষ্টা চলছে। রাশিদ ও তাঁর সঙ্গী ইয়াসিন অবশ্য দাবি করেন, এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। তাঁরা বলেন, অনেক হামলার ষড়যন্ত্র করা হয় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসেই। লোকজন শুধু আইএস-প্রধান আবু-বকর আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে নির্দেশ পালন করে যায়। তারা রাক্কা থেকে কোনো নির্দেশনাও চাইত না। মরক্কোর বংশোদ্ভূত এই দুই যুবক বলেন, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের সহিংস দমনপীড়নের প্রতিবাদ করতে তাঁরা দেশটিতে যান। রাশিদ ও ইয়াসিন ধরা পড়লে তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনবে বেলজিয়ামের আদালত। দোষী সাব্যস্ত হলে দীর্ঘ কারাভোগ করতে হবে। বিদেশি কমান্ডার ওমর আল-শিশানির মৃত্যু ছিল আইএসের জন্য অনেক বড় ধাক্কা। তিনি এত দক্ষ ছিলেন যে অনেকে প্রথমে বিশ্বাসই করতে চায়নি তিনি মারা গেছেন। এভাবে লোকবল হারানোর পাশাপাশি সংগঠনটি বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে তাদের আয়ের পথও কমছে; বিশেষ করে তেলক্ষেত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারানো। এ ছাড়া তারা বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করেও অর্থ আদায় করত। সংগঠনটি ফরাসি ও স্পেন সরকারের কাছ থেকে বেশ মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করত। এখন সেই অর্থের পরিমাণও কমে এসেছে। সম্প্রতি এক জার্মান নারীকে মুক্তি দেওয়া হয়। শোনা যায়, এক কোটি পাউন্ড দেওয়া হয় তাঁর মুক্তিপণ। তবে তা আগের তুলনায় অনেক কম। স্পেন তিন কোটি পাউন্ড দিয়েছিল বলে শোনা গিয়েছিল। তবে সাধারণ সদস্যরা জানেন না, এই অর্থ দিয়ে কী করা হয়।