বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা কমিয়ে আনতে বিএসএফ তাদের জওয়ানদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিএসএফের দক্ষিণ ফ্রন্টিয়ারের আইজি পিএসআর আনজানেইয়েলু এ খবর জানিয়ে বলেছেন, সীমান্তে যাতে গুলি চালানোর মতো কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা আমাদের জওয়ানদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। সীমান্তে হত্যার ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ সব সময় সরব হয়েছে। গত চার বছরে বাংলাদেশ সীমান্তে ১৪৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিএসএফ ও বিজিবির বিভিন্ন বৈঠকে সীমান্ত হত্যা জিরো পর্যায়ে নিয়ে আসার কথা বলা হলেও তা এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। তবে বিএসএফ যে বিষয়টি নিয়ে ভাবছে সে কথা জানিয়েছেন বিএসএফের আইজি। সম্প্রতি ভারত সফররত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আইজি বলেছেন, সীমান্তে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে অপরাধীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে হয়। অনেক সময় দুষ্কৃতকারিরা এত কাছে থেকে অক্রমণ চালায় যে, তখন আত্মরক্ষার্থে গুলি না চালিয়ে উপায় থাকে না। বিএসএফ আইজি দাবি করেছেন, গুলি চালানোর ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে বিএসএফ লক্ষ্য রাখছে। তার বিশ্বাস, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা সম্ভব হবে। বিএসআইজি জানিয়েছেন, পাক সীমান্তে আমাদের যেভাবে কাজ করতে হয়, বাংলাদেশ সীমান্তে তা সম্পূর্ণ অন্যভাবে করতে হয়। পাকিস্তানকে শত্রু ভেবেই চলা হয়। আর তাই বাংলাদেশ সীমান্তে কর্মরত বিএসএফ জওয়ানদের বলা হচ্ছে পাক সীমান্তের কৌশল বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যবহার করা যাবে না। কেননা, বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু দেশ। আইজি আরো জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সীমান্তে মৃত্যু যাতে না হয় তেমন বুলেট ব্যবহার করা হচ্ছে। গত এক বছরে বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ ২২৪ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া প্রায় ২৩০০ রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.