খেলার মাঠে দুজন সহযোদ্ধা। আর আত্মীয়তায় ভায়রা। একজন জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম অন্যজন অল রাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু আজ দু’জন মাঠে লড়বেন প্রতিপক্ষ হয়ে। বিপিএলের চতুর্থ আসরে প্রথমবার ব্যাট বলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবেন এই দুই তারকা। বরিশাল বুলসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুশফিক। এর আগের আসরে এই দলটিকে নেতৃত্ব দিয়ে সেমিফাইনাল খেলিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ। এবার তিনি খুলনা টাইটান্সের অধিনায়ক। এবারও সাদামাটা একটি দল নিয়ে এগিয়ে চলছেন দুর্দান্ত গতিতে। গতকাল শীর্ষে থাকা ঢাকা ডায়নামাইটসকে হারিয়ে বরিশাল বুলসকে পেছনে ফেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। এই পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে খুলনার জয় ৪টি। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে বরিশাল। তাই মুশফিক বাহিনীর অন্যতম লক্ষ্য জয়। আজ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে মুখোমুখি হবে দুই দল। বিপিএলের আজ একটিই ম্যাচ মাঠে গড়াবে। মাহমুদুল্লাহ বাহিনীকে হারাতে দারুণ আত্মবিশ্বাসী বুলসের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফীস। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি ম্যাচেই জয়ের লক্ষ্য থাকে। সেই ভাবেই খেলার চেষ্টা করি। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে সব দিন এক যায় না। আমাদের চেষ্টা করতে হবে যেন ব্যাটি-বোলিং ও ফিল্ডিং সব বিভাগ এক সঙ্গে দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারে। এখানে একটি ওভারই সব কিছু বদলে দিতে পারে। তাই প্রতিটি বল ও প্রতিটি ওভার গুরুত্বপূর্ণ।’ অন্যদিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খুলনাকে শুধু নেতৃত্বই দিচ্ছেন না ব্যাট-বল হাতে দলকে দারুণ জয় এনে দিচ্ছেন। পরপর দুই ম্যাচে শেষ ওভারে তিনি বল হাতে দলকে জয় এনে দেন। চট্টগ্রামের বিপক্ষে হারতে থাকা ম্যাচে শেষ ওভারে ৩ রানের জয় পান। এরপর রাজশাহীর বিপক্ষেও হারতে থাকা ম্যাচে শেষ ওভারে ৪ রানের জয় তুলে নেন। গতকাল একের পর এক জয়ে উড়তে থাকা ঢাকাকে ৯ রানে হারায় মাহমুদুল্লাহর দল। ব্যাট করতে নেমে এই ম্যাচে ৬২ রানের অবদান রাখেন খুলনার অধিনায়ক। তার ব্যাটে ভর করেই ঢাকাকে ১৫৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয়। তবে গতকাল বল হাতে নেননি রিয়াদ। কাগজে কলমে শক্তিশালী না হলেও মাঠের পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল খুলনা যে বরিশালের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিষয়টি স্বীকারও করে নিলেন শাহরিয়ার নাফীস। তিনি বলেন, ‘এটি সত্যি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কাগজে কলমের শক্তি ধরে খেলা বোকামি। এখানে মাঠের শক্তিটাই আসল। অবশ্যই রিয়াদের প্রশংসা করতে হয়। সে দারুণ ভাবে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে আমাদেরও জয়ের সক্ষমতা আছে। মাঠের লড়াইয়ে সেটাই প্রমাণ করতে হবে।’ ঢাকায় বিপিএলের শুরুর দিনই উইকেটে রান পেয়েছিল দলগুলো। এরপর ভোগতে থাকে রান খরায়। অবশ্য শেষের দিকে ফের রান পায় উইকেট থেকে। তবে চট্টগ্রামের উইকেট ভিন্ন। এখানে শুরু থেকেই দল গুলো বেশ রান পাচ্ছে। উইকেট নিয়ে নাফীস বলেন, ‘ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের উইকেটের প্রথম পার্থক্য হল রংয়ে। মিরপুর শেরে বাংলা মাঠের উইকেট কালো মাটিতে তৈরি। এখানে এমন নয়, উইকেটে রান পাওয়া যায়, ব্যাটসম্যানরা উইকেট থেকে সাহায্য পায়। কিন্তু মিরপুরে উইকেটে বোলারদের সাহায্যটা বেশি থাকে।’ নিজের দলের শক্তি নিয়ে নাফীস বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিংটা দারুণ হচ্ছে। মুশফিক রানে ফিরেছেন এটি আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। বোলাররাও খারাপ করছে না।’ বরিশাল বুলস আসর শুরু করেছিল হার দিয়ে। এরপর তারা টানা তিন ম্যাচে জয় পায়। যেখানে অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম দুই ম্যাচে ফিফটি হাঁকিয়েছেন। এর মধ্যে ৮১ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস আছে। শুধু তাই নয়, বিপিএলের এই পর্যন্ত সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকই। তিনি একমাত্র ব্যাটসম্যান যে এই আসরে ১০১৩ রান করেছেন। অন্যদিকে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মাহমুদুল্লাহও খুলনার অন্যতম শক্তি। তাই আজ লড়াইটা হবে মূলত দুই ভায়রার মধ্যেই।খেলার মাঠে দুজন সহযোদ্ধা। আর আত্মীয়তায় ভায়রা। একজন জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম অন্যজন অল রাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু আজ দু’জন মাঠে লড়বেন প্রতিপক্ষ হয়ে। বিপিএলের চতুর্থ আসরে প্রথমবার ব্যাট বলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবেন এই দুই তারকা। বরিশাল বুলসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুশফিক। এর আগের আসরে এই দলটিকে নেতৃত্ব দিয়ে সেমিফাইনাল খেলিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ। এবার তিনি খুলনা টাইটান্সের অধিনায়ক। এবারও সাদামাটা একটি দল নিয়ে এগিয়ে চলছেন দুর্দান্ত গতিতে। গতকাল শীর্ষে থাকা ঢাকা ডায়নামাইটসকে হারিয়ে বরিশাল বুলসকে পেছনে ফেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। এই পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে খুলনার জয় ৪টি। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে বরিশাল। তাই মুশফিক বাহিনীর অন্যতম লক্ষ্য জয়। আজ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে মুখোমুখি হবে দুই দল। বিপিএলের আজ একটিই ম্যাচ মাঠে গড়াবে। মাহমুদুল্লাহ বাহিনীকে হারাতে দারুণ আত্মবিশ্বাসী বুলসের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফীস। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি ম্যাচেই জয়ের লক্ষ্য থাকে। সেই ভাবেই খেলার চেষ্টা করি। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে সব দিন এক যায় না। আমাদের চেষ্টা করতে হবে যেন ব্যাটি-বোলিং ও ফিল্ডিং সব বিভাগ এক সঙ্গে দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারে। এখানে একটি ওভারই সব কিছু বদলে দিতে পারে। তাই প্রতিটি বল ও প্রতিটি ওভার গুরুত্বপূর্ণ।’ অন্যদিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খুলনাকে শুধু নেতৃত্বই দিচ্ছেন না ব্যাট-বল হাতে দলকে দারুণ জয় এনে দিচ্ছেন। পরপর দুই ম্যাচে শেষ ওভারে তিনি বল হাতে দলকে জয় এনে দেন। চট্টগ্রামের বিপক্ষে হারতে থাকা ম্যাচে শেষ ওভারে ৩ রানের জয় পান। এরপর রাজশাহীর বিপক্ষেও হারতে থাকা ম্যাচে শেষ ওভারে ৪ রানের জয় তুলে নেন। গতকাল একের পর এক জয়ে উড়তে থাকা ঢাকাকে ৯ রানে হারায় মাহমুদুল্লাহর দল। ব্যাট করতে নেমে এই ম্যাচে ৬২ রানের অবদান রাখেন খুলনার অধিনায়ক। তার ব্যাটে ভর করেই ঢাকাকে ১৫৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয়। তবে গতকাল বল হাতে নেননি রিয়াদ। কাগজে কলমে শক্তিশালী না হলেও মাঠের পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল খুলনা যে বরিশালের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিষয়টি স্বীকারও করে নিলেন শাহরিয়ার নাফীস। তিনি বলেন, ‘এটি সত্যি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কাগজে কলমের শক্তি ধরে খেলা বোকামি। এখানে মাঠের শক্তিটাই আসল। অবশ্যই রিয়াদের প্রশংসা করতে হয়। সে দারুণ ভাবে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে আমাদেরও জয়ের সক্ষমতা আছে। মাঠের লড়াইয়ে সেটাই প্রমাণ করতে হবে।’ ঢাকায় বিপিএলের শুরুর দিনই উইকেটে রান পেয়েছিল দলগুলো। এরপর ভোগতে থাকে রান খরায়। অবশ্য শেষের দিকে ফের রান পায় উইকেট থেকে। তবে চট্টগ্রামের উইকেট ভিন্ন। এখানে শুরু থেকেই দল গুলো বেশ রান পাচ্ছে। উইকেট নিয়ে নাফীস বলেন, ‘ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের উইকেটের প্রথম পার্থক্য হল রংয়ে। মিরপুর শেরে বাংলা মাঠের উইকেট কালো মাটিতে তৈরি। এখানে এমন নয়, উইকেটে রান পাওয়া যায়, ব্যাটসম্যানরা উইকেট থেকে সাহায্য পায়। কিন্তু মিরপুরে উইকেটে বোলারদের সাহায্যটা বেশি থাকে।’ নিজের দলের শক্তি নিয়ে নাফীস বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিংটা দারুণ হচ্ছে। মুশফিক রানে ফিরেছেন এটি আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। বোলাররাও খারাপ করছে না।’ বরিশাল বুলস আসর শুরু করেছিল হার দিয়ে। এরপর তারা টানা তিন ম্যাচে জয় পায়। যেখানে অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম দুই ম্যাচে ফিফটি হাঁকিয়েছেন। এর মধ্যে ৮১ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস আছে। শুধু তাই নয়, বিপিএলের এই পর্যন্ত সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকই। তিনি একমাত্র ব্যাটসম্যান যে এই আসরে ১০১৩ রান করেছেন। অন্যদিকে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মাহমুদুল্লাহও খুলনার অন্যতম শক্তি। তাই আজ লড়াইটা হবে মূলত দুই ভায়রার মধ্যেই।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.