আজ রবিবার কবি সুফিয়া কামালের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
কবি সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদে রবিবার বিকাল ৩টায় এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
নারী জাগরণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন কবি। ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে অভিজাত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। বহুমুখী গুণের কারণে বাংলার মানুষ তাকে ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে ভূষিত করে।
সুফিয়া কামাল ১৯২৩ সালে রচনা করেন প্রথম গল্প ‘সৈনিক বধূ’ যা বরিশালের তরুণ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯২৬ সালে সওগাত পত্রিকায় তার প্রথম কবিতা বাসন্তী প্রকাশিত হয়। তিনি ছিলেন বেগম পত্রিকার প্রথম সম্পাদক। ১৯৪৭ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সরাসরি যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে মহিলা সংগ্রাম পরিষদ (বর্তমানে মহিলা পরিষদ) গঠিত হলে প্রতিষ্ঠাতা প্রধন নির্বাচিত হন। এ ছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ছায়ানটের সভাপতি ছিলেন।
তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী, দিওয়ান, মোর জাদুদের সমাধি পরে প্রভৃতি। গল্পগ্রন্থ কেয়ার কাঁটা আর ভ্রমণ কাহিনী সোভিয়েত দিনগুলি এবং স্মৃতিকথা একাত্তুরের ডায়েরি।
সুফিয়া কামাল ৫০টিরও অধিক পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পদক।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.