যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আগামী বছর রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানাবেন। দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার জন্য এই সফরের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছে সানডে টাইমস পত্রিকা। দুই ব্রিটিশ মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে সানডে টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা শিগগিরই শুরু হবে। আগামী বছরের জুন বা জুলাই নাগাদ সম্ভাব্য সফরটি হতে পারে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের সরকার ব্রেক্সিট ভোটে গণরায়ের প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সরে যাওয়ার প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এ-সংক্রান্ত উদ্যোগও আসছে বছর জোরেশোরে শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ আরও ঝালিয়ে নিতে চাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ব্রেক্সিট বিশ্বকাঠামোতে যুক্তরাজ্যকে নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি করবে। তখন পুরোনো মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে আরও পাশে পেতে চাচ্ছে দেশটি।
যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগের পক্ষের আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা নাইজেল ফারাজ ট্রাম্পের বিজয়ের কয়েক দিন পরই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ফারাজই বিজয়ী ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা প্রথম ব্রিটিশ রাজনীতিক। গত সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের সঙ্গে ফোনালাপে তাঁকে দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প। হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ সময় বলেন, তাঁর মা ছিলেন স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা এবং রানির ভক্ত। রানির কাছে তাঁর শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে থেরেসা মেকে অনুরোধ করেন ট্রাম্প।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.