স্টেশন মাস্টার বরখাস্ত
সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড়ে মালবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুত ইঞ্জিন ও বগির উদ্ধারের পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এদিকে, এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুল গফুরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে করা হয়েছে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা শওকত জামিল মহসিনকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ডিভিশনাল মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার এ.বি.এম কামরুজ্জামান, ডিভিশনাল সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার আবু হেনা মোস্তফা আলম ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আসাদুল হক। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহা-ব্যবস্থাপক খায়রুল আলম জানান, ট্রেনটি মিটার গেজে চলছিল। কিন্তু লাইনটি ছিল ব্রডগেজে। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার আব্দুল গফুর লাইনটি পরিবর্তন না করে দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ কারনে দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলার অভিযোগে তাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার প্রায় ১৩ ঘন্টা পর লাইনচ্যুত ট্রেনের ৬টি বগি ও ইঞ্জিন উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পরিবহণ কর্মকর্তা শওকত জামিল মহসিন জানান, উদ্ধার অভিযান শেষ করে লাইন সচল করা হয়েছে। রাত ২টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে আটকে থাকা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত ইকোপার্ক এলাকায় পার্বতীপুর থেকে ঢাকাগামী চাল বোঝাই মালবাহী ট্রেনটি ইঞ্জিন ও ছয়টি বগিসহ লাইনচ্যুত হয়। পাকশী থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রথম ও ৬টার দিকে ২য় রিলিফ ট্রেনটি এসে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। লাইনচ্যুত হবার পর সেতুর পূর্বপাড়ে নীলসাগর ও একতা এক্সপ্রেস এবং পশ্চিমপাড়ে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা তাৎক্ষনিক আটকা পড়ে। এছাড়াও ঘটনার পর থেকে উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের ২৪টি জেলার থেকে ঢাকায় চলাচলাচলকৃত ১৩টি ট্রেন আসা যাওয়া বন্ধ রয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.