চলতি বছরের শেষ নাগাদ পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ অনলাইনে থাকবে। তবে এই ব্যবহারকারীর পরিমাণ উন্নত বিশ্বেই কেন্দ্রীভূত থাকবে। মুঠোফোন নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ও স্মার্টফোনের দাম কমায় এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, উন্নত দেশে ৮০ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। উন্নয়নশীল দেশে পরিমাণটা ৪০ শতাংশ, আর অনুন্নত দেশগুলোয় মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশের কম মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশই আছে ইন্টারনেটের আওতায়। জাতিসংঘের লক্ষ্য, ২০২০ সাল নাগাদ তা ৬০ শতাংশে পৌঁছে দেওয়া। প্রতিবেদনে লেখা ছিল, ২০১৬ সালে এসে মানুষ আর অনলাইনে যায় না, তারা অনলাইনেই থাকে। বিশ্বব্যাপী থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি প্রতিনিয়ত মানুষকে আরও বেশি ইন্টারনেটমুখী করছে। টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলো সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোনের মাধ্যমে গ্রাহকদের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করছে। তবে স্বল্পোন্নত দেশগুলো এখনো অনেক পিছিয়ে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহার ও তার সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলো উন্নত দেশগুলোর তুলনায় প্রায় ২০ বছর পিছিয়ে আছে। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবকাঠামোর প্রসারজনিত খরচের আধিক্যকে। এ ছাড়া মুঠোফোন নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট ব্যবহারের উচ্চমূল্য তো রয়েছেই।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.