শুধু বাংলাদেশিরা না, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকির মুখে এখন নিউইয়র্ক, লন্ডনের মতো শহরের বাসিন্দারাও। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা উত্তর মেরুর একটি গুরুত্বপূর্ণ হিমবাহ ভেঙে পড়ার চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন। খবর বিবিসির। এটা ঘটলে বিভিন্ন দেশে উপকূলে বিশাল উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা দেবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অনেক বড় বড় শহর পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। উপকূলের অন্তত ১৫ কোটি মানুষ গৃহহীন হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, উত্তর মেরুর পশ্চিম দিকের হিমশৈলের জমাট বরফকে আটকে রেখেছে যে দুটি হিমবাহ পাইন আইল্যান্ড গ্লেসিয়ার তার মধ্যে একটি। তারা এই গ্লেসিয়ারে ২০ মাইল লম্বা একটি চিড় ধরেছে বলে দেখতে পেয়েছেন। এই হিমবাহটি ভেঙে পড়লে উত্তর মেরুর বরফ দ্রুত গলতে শুরু করবে এবং সেই পানি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাকে আরো বাড়িয়ে দেবে। ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের দলনেতা ইয়েন হাওয়ার্ট বলেছেন, ওয়েস্ট অ্যান্টার্কটিক আইস শিট গলে যাবে কি না, সেটা বড় প্রশ্ন নয়। বড় প্রশ্ন হলো কখন সেটা গলতে শুরু করবে। তিনি আরো বলেন, পাইন আইল্যান্ড গ্লেসিয়ারে দেখা যাচ্ছে, এর ভাঙন ধরেছে হিমবাহের কেন্দ্রভাগে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের ধারণা, আগামী ১০০ বছরের মধ্যে ওই হিমবাহের বরফ গলতে শুরু করবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.