অবশেষে ৯ম ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয়ের দেখা মিলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স শিবিরে। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে মুশফিকুর রহীমের বরিশাল বুলসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে মাশরাফির দল। অন্যদিকে টানা তিন জয়ে পর আকাশে উড়তে থাকা বরিশাল হারলো টানা ৬ ম্যাচ। শেষ চারের লাড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে শেষ তিন ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৬ষ্ঠ স্থানে থাক বরিশালের। কিন্তু কুমিল্লার সঙ্গে হেরে এখন তারা পড়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। শেষ দুই ম্যাচে জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ১০, অন্যদিকে কুমিল্লা শেষ ৩ ম্যাচে জিতলে তাদের পয়েন্টও হবে ১০ তাই বলা চলে জাতীয় দলের দুই অধিনায়কের শেষ চারে খেলা এখন প্রায় অসম্ভবই বটে। বিপিএল’র শেষ আসরে মাশরাফি বিন মূর্তজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু এবার ঠিক উল্টো রথেই আছে চ্যাম্পিয়নদের বিপিএল সফর। টানা পাঁচ হারের পর প্রথম জয় এসেছিল চট্টগ্রামে। রাজশাহীর বিপক্ষে ৩২ রানের জয়টি কুমিল্লা প্রথম জয়ের দেখা পেলেও ফের দুই হার। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৪২ রানেই থেমে ছিল বরিশাল। জবাব দিতে নেমে আহমেদ শেহজাদ ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটে চড়ে জয় তুলে নেয়। শেহজাদ করেছেন ৫৬ বলে ৬১ রান। তবে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন কুমিল্লার স্পিনার নাবিল সামাদ। বরিশালের ১৪৩ রানের টার্গেটের জবাব দিতে নেমে রানে ফিরে ওপেনার ইমরুল কায়েস। ৩৫ বলে করেন ৪৬ রান। দলীয় ৯৩ রানের সময় ইমরুল আউট হলেও দলের হাল ধরে রাখেন শেহজাদ। গতকাল ফের মাঠে নেমেছিলেন ক্যারিবীয় তারকা মারলন স্যামুয়েলস। তিনি ১৮ বলে ২৭ করে অপরাজিত থাকলেও এই আসরে দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকিয়ে আউট হন শেহজাদ। শেষ পর্যন্ত স্যামুয়েলের সঙ্গে ৭ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন খালিদ লতিফ। এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানেই প্রথম ও ৪২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে হোঁচট খেয়েছিল বরিশাল। সেখান থেকে মেন্ডিসকে নিয়ে মুশফিক দলের হাল ধরেন। কিন্তু ২৪ বলে ২৮ রান করে মেন্ডিজ আউট হলে ছন্দ ঘটে। এরপর মুশফিক চেষ্টা করেন শাহরিয়ার নাফীসকে নিয়ে। কিন্তু দলের দুই সেরা ব্যাটসম্যান ব্যর্থ হন। দলীয় ৮৫ রানে নাফীস হাল ছাড়েন মাত্র ১১ রান করে। সেখান থেকে ৩৩ রানের মধ্যে আরও চার উইকেট হারায় বরিশাল। এর মধ্যে অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম আউট হন ২৯ রান। শেষ পর্যন্ত ১৫ বলে ২০ রান করে লড়েন শুধু এনামুল হক (২)। তার ব্যাটিংয়েই সম্মান বাঁচান বাঁচে বরিশালের। এমন হারের অধিনায়ক মুশফিক ভীষণ চটেছেন দলের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের উপর। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং কোনটাই ভাল হচ্ছে না। আমরা যে তিনটি ম্যাচ জিতেছি সেখানেও দুই-একজনই পারফরমেন্স করেছে। আসরে যদি সবাই অবদান না রাখে তাহলে জয় সম্ভব নয়। ব্যাটিংয়ে অবদান কম হলে সেটি বোলিং আর ফিল্ডিং দিয়ে পুষিয়ে দিতে হয়। কিন্তু সেটিই আমরা করতে পারিনি। আমরা যে ভাবে খেলছিলাম এতো আমাদের শেষ চারে খেলা প্রায় নিশ্চিত ছিল।’ সংক্ষিপ্ত স্কোর টস: বরিশাল বুলস (ব্যাটিং) বরিশাল বুলস: ২০ ওভারে ১৪২/৮ (মুশফিকুর রহীম ২৯, মেন্ডিজ ২৮, এনামুল হক(২) ২০*, নাবিল সামাদ ৩/১৭) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৯ ওভারে ১৪৫/২ (আহমেদ শেহজাদ ৬১, ইমরুল কায়েস ৪৪, স্যামুয়েলস ২৭, ডেভিড মালান ১/৮) ফল: কুমিল্লা ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা: নাবিল সামাদ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.