উত্তর কোরিয়া দুটি মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আজ বুধবার সকালে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ক্ষেপণাস্ত্র দুটির পরীক্ষা চালানো হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, পরীক্ষা চালানো দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই শক্তিশালী মুসুদান ধরনের। উত্তর কোরিয়ার প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি ব্যর্থ হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটির ভাগ্যে কী ঘটেছে—তা এখনো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
পরমাণু কর্মসূচির কারণে উত্তর কোরিয়ার যেকোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। তবে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই গত দুই মাসে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে তারা। অবশ্য সব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাই ব্যর্থ হয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আন্তমহাদেশীয় হলে, দেশটির এমন কার্যক্রম আর মেনে নেওয়া যাবে না। জাপানের সরকার জানিয়েছে, কোনো ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির আকাশসীমায় পৌঁছালে তা গুলি করে ভূপাতিত করা হবে।
বিবিসি জানায়, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আগেই বুঝতে পেরেছিল। দেশগুলো এ বিষয়ে সতর্কও করেছিল।
ধারণা করা হয়, মুসুদান ক্ষেপণাস্ত্র তিন হাজার কিলোমিটার দূরত্বের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। তাই এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে হামলা করা সম্ভব। উত্তর কোরিয়ার কাছে অন্তত কয়েক ডজন মুসুদান ক্ষেপণাস্ত্র আছে। তবে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রই পরীক্ষায় এখনো সফলতা পায়নি।
বিবিসি জানায়, এরই মধ্যে আণবিক বোমা তৈরিতে সফলতা পেলেও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাই দূরের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে এখনো হানার সক্ষমতা অর্জন করেনি তারা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.