প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে এসে রাজশাহীতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী।
ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায়।
এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে তিনজন ওই হোটেলেরই কর্মচারী। আরেকজন মেয়েটির প্রেমিকের চাচাতো ভাই।
থানা হাজতে রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোলায়মান হোসেন। তবে মেয়েটির কথিত প্রেমিক মনিরুল ইসলাম সজল এখনও পলাতক রয়েছে।
মেয়েটির মা বাদী হয়ে সজলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, নাটোরের যুবক সজলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় মেয়েটির। রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহীতে ঘুরতে এসে তারা রাত যাপনের জন্য স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে যমুনা হোটেলে গিয়ে ওঠেন।
এসময় তাদের সঙ্গে সজলের চাচাতো ভাই আল আমিনও ছিল। মেয়েটিকে নিয়ে সজল একটি কক্ষে ওঠেন। আর আল আমিন আলাদা কক্ষ বরাদ্দ নেন।
কিন্তু রহস্যজনক কারণে হোটেলের বোর্ডারের খাতায় তাদের নাম উঠাননি। সন্ধ্যার পর হোটেলেই মেয়েটি গণধর্ষণের শিকার হন।
ওই হোটেলের এক কর্মচারী জানান, তারা হোটেলে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলেও সন্দেহ হওয়ায় তাদের নাম ঠিকানা বোর্ডারের খাতায় উঠানো হয়নি। রাতে প্রেমিক সজলকে হোটেল কর্মচারীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে মেয়েটির উপর শুরু হয় পাশবিক নির্যাতন। মেয়েটিকে ৫-৬জন মিলে ধর্ষণ করে।
পরে কৌশলে মেয়েটি হোটেল থেকে পালিয়ে বোয়ালিয়া থানায় যায়। সেখানে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়ার পরই চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ওই মেয়েটি রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি শাহাদত হোসেন খান যুগান্তরকে জানান, মেয়েটি ও সজল এক সময় ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি করতো। সেখানেই তাদের প্রেম হয়।
তারা ফের ঢাকায় চলে যাওয়ার উদ্দেশে রাজশাহীতে এসে রাত কাটানোর জন্য যমুনা হোটেলে উঠেছিল। মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঘটনার পরই সজল পালিয়ে গেছে। তবে তার চাচাতো ভাই আল আমিনসহ হোটেল তিন কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.