কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল কাস্ত্রোর দেহভস্মাধার দীর্ঘ যাত্রা শেষে গতকাল শনিবার সান্তিয়াগো দ্য ক্যুবা শহরে পৌঁছেছে। এ শহর থেকেই কাস্ত্রো বিপ্লব শুরু করেছিলেন। নয় দিনের শোক পালন শেষে আজ রোববার কাস্ত্রোর দেহভস্ম আনুষ্ঠানিকভাবে সান্তা ইফিগেনিয়া সমাধিক্ষেত্রে সমাহিত করা হবে। এ সমাধিতেই ১৯ শতকের স্বাধীনতার নায়ক হোসে মার্তিকে সমাহিত করা হয়। রাজধানী হাভানার রেভল্যুশন স্কয়ারে আজই আরেকটি শোকসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিদেশি অতিথিরা। গত ২৮ নভেম্বর এই স্কয়ারে এক শোকসভা থেকে কাস্ত্রোর ভস্মাধার কিউবার বিভিন্ন প্রান্তে বয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। ১৯৫৯ সালের বিপ্লবে কাস্ত্রোর গেরিলা বাহিনী যে পথে হাভানা পৌঁছেছিল, তার উল্টো পথ অনুসরণ করে দেহভস্ম। জাতীয় পতাকা মোড়ানো এই ভস্মাধার গত বুধবার হাভানা অতিক্রম করে। সে সময় রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে লোকজন ‘আমি ফিদেল!’ বলে স্লোগান দেন। গতকাল শেষ গন্তব্যস্থল সান্তিয়াগো দ্য ক্যুবা শহরে পৌঁছানোর আগে ভস্মাধারটি প্রতিদিন কিউবাবাসীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিভিন্ন স্থানে যাত্রাবিরতি করে। গতকাল সন্ধ্যায় সান্তিয়াগো দ্য ক্যুবা শহরে কাস্ত্রোর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক বড় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে এ সভায় ফিদেলের ভাই ও কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর বক্তৃতা করার কথা রয়েছে। ফিদেলের অসুস্থতার পর ২০০৬ সালে তাঁর কাছ থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রাউল।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.