ঢাকা বিভাগের মৌরী ইসরাত খান মিজান-মালয়েশিয়ান পাম অয়েল সেরা রন্ধনশিল্পী-২০১৬ নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে রংপুরের দিলরুবা বেগম ফ্যান্সি এবং চট্টগ্রামের নাছরিন আক্তার সুমি। পুষ্টিজ্ঞান বিবেচনায় অধ্যাপিকা সিদ্দিকা কবীর ট্রফি অর্জন করেন ঢাকার নাহিদ সুলতানা। সমপ্রতি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত দেশের অন্যতম এই রন্ধনশিল্প প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার জাঁকজমকপূর্ণ গ্র্যান্ড ফিনালের তিন শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথির সামনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দি বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিলের আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম ফখরুল আলম, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ প্রধান সোয়েব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং বাংলাদেশে এমিরেটস্ এয়ারলাইনের এরিয়া ম্যানেজার খালিদ আলী জে হাসান। সারা দেশের সাতটি বিভাগ থেকে বাছাইকৃত মোট ৪৯ জন রন্ধনশিল্পী এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। মোট ১২টি পর্বে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেরা পাঁচজন ফাইনাল এবং গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। গ্র্যান্ড ফাইনালিস্ট হলেন- চট্টগ্রামের নাছরিন আক্তার সুমি, ঢাকার নাহিদ সুলতানা ও মৌরী ইসরাত খান, রংপুরের দিলরুবা বেগম ফ্যান্সি এবং সিলেটের মাশিয়াত বিনতে লুৎফুর মিশু। গ্র্যান্ড ফিনালে পর্বে প্রতিযোগীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরবরাহকৃত উপকরণ ব্যবহার করে একটি সালাদ আইটেম তৈরি এবং পরিবেশন করেন। এই পর্বে অতিথি বিচারক হিসেবে ছিলেন প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার এলড্রিজ ম্যাক ইভান, স্যু শেফ মো. আলী এবং এমিরেটস্ের এরিয়া ম্যানেজার খালিদ আলী জে হাসান। ফাইনাল ও গ্র্যান্ড ফিনালে পর্বে পারফর্মেন্সের ওপর ভিত্তি করে বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়। বিজয়ীদের ট্রফি, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতার বিজয়ী মৌরী পেশাগত জীবনে একজন তথ্যপ্রযুক্তি বিপণন কর্মকর্তা এবং ফ্যাশন ডিজাইনার। তিনি তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, রান্না-বান্না আমার প্যাশন। সময় পেলেই এটি নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পছন্দ করি। ভবিষ্যতে একটি বেকারি ও প্যাস্ট্রিশপ পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে আমার। প্রতিযোগিতার অন্য পর্বগুলোতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দেশের প্রথিতযশা রন্ধন বিশারদ এবং পুষ্টিবিদ কল্পনা রহমান, নূর আয়েশা চাকলাদার, তাহেরা ওয়াহিদ, লবি রহমান, নাফিজ ইসলাম লিপি এবং মো. আলী। ভ্রমণবিষয়ক পাক্ষিক দি বাংলাদেশ মনিটর ও এটিএন বাংলার যৌথ পরিবেশনায় এবারের সেরা রন্ধনশিল্পী প্রতিযোগিতার টাইটেল স্পন্সর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিল এবং মিজান ফর্টিফাইড পাম অলিন। প্যান্ট্রি পার্টনার ছিল ‘স্বপ্ন’। প্রতিযোগিতার অ্যাওয়ার্ড পার্টনারদের মধ্যে ছিল ইস্পাহানি, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, এমিরেটস্ এয়ারলাইন্স এবং ফুড ক্যাডেটস্। গ্র্যান্ড ফিনালেসহ প্রতিযোগিতার সবকটি পর্ব এটিএন বাংলায় সমপ্রচার করা হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.