গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিলে সেটাকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, এটি মা ও অনাগত শিশু—দুজনেরই বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ প্রথমবার ধরা পড়তে পারে, আবার গর্ভধারণের আগে থেকেও কারও এ সমস্যা হতে পারে। ঠিকঠাক চিকিৎসা না নিলে গর্ভবতীর প্রি-একলাম্পশিয়া ও একলাম্পশিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। মায়ের শরীর থেকে গর্ভস্থ শিশুর শরীরে রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে শিশুটির ওজন হ্রাসসহ সময়ের আগেই প্রসব এবং গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।
গর্ভকালীন প্রতিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে রক্তচাপ মাপা উচিত। রক্তচাপ বাড়তি থাকলে ওষুধ খেতে হবে। সব উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ গর্ভকালীন খাওয়া নিরাপদ নয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ওষুধ খাবেন না। এমনকি আগে থেকে রক্তচাপের ওষুধ খেয়ে থাকলে তা চিকিৎসককে জানান এবং বদলানোর প্রয়োজন আছে কি না জেনে নিন।
রক্তচাপ বাড়তি থাকলে লবণ খাওয়া কমিয়ে দিন। তাজা ফলমূল ও শাকসবজি খান। উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিল পরিস্থিতির লক্ষণগুলো জেনে রাখুন। চোখে ঝাপসা দেখা, বমি, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, প্রস্রাব কমে যাওয়া, শরীর ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। একলাম্পশিয়া থেকে খিঁচুনি হতে পারে। প্রি-একলাম্পশিয়ায় প্রস্রাবে প্রোটিন থাকে, তাই নিয়মিত প্রস্রাবের প্রোটিন বা এলবুমিন পরীক্ষা করাতে হবে।
প্রসবের পরও রক্তচাপ বেশি থেকে যেতে পারে। তাই পরবর্তী সময়েও রক্তচাপ নিয়মিত যাচাই করতে হবে এবং প্রয়োজনে ওষুধ খেতে হবে।
স্তন্যপান করানোর সময় রক্তচাপের ওষুধ খাওয়া যায়। যাঁদের গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিয়েছে, তাঁদের পরবর্তী সময়ে হৃদ্রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই সন্তান প্রসবের পর রক্তচাপ কমে গেলে জীবনাচরণ পাল্টাতে হবে।
ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল
সূএ: ইন্টারনেট
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.