নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জোটগতভাবে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে পারেনি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। এই জোট কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান হবেন জোটের একক প্রার্থী। কিন্তু কেন্দ্রের এ সিদ্ধান্ত মাঠে বাস্তবায়িত হয়নি।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করার কথা এই প্রতিবেদকের কাছে শুনে তাঁরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। তাঁরা আশা করছেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন জানাবেন।
২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী আজ রোববার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, ২০-দলীয় জোটের প্রধান শরিক বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের পাশাপাশি এলডিপির প্রার্থী কামাল প্রধান এবং কল্যাণ পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌসও মেয়র পদে বৈধ প্রার্থী হিসেবে আছেন।
গত ২৯ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, জোটের সব দল মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন জানাবে। কল্যাণ পার্টি ও এলডিপির প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।
জানতে চাইলে বিএনপির নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রথম আলোকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০-দলীয় জোটের একক প্রার্থীই থাকবে। এলডিপি ও কল্যাণ পার্টি তাদের প্রার্থীকে ‘ওন’ করবে না। তা ছাড়া রাজনীতিতে কিছু কৌশলও থাকে।
গয়েশ্বর কৌশলের কথা বললেও এলডিপি আর কল্যাণ পার্টির সূত্র বলছে ভিন্ন কথা। দল দুটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দুজন নেতা প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁরা দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রার্থীরা সেটি আমলে নেননি। ওই দুই প্রার্থী নিজ নিজ সিদ্ধান্তে নির্বাচন করছেন।
জানতে চাইলে এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, কথা ছিল এলডিপির প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। আর কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাশেদ ফেরদৌসও দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছিল। সময়ের অভাবে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারেননি। এখন যেহেতু প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, শিগগিরই তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি ও জোটের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনের প্রতি নিজের সমর্থন ঘোষণা করবেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.