ঢাকা শহরের পার্ক ও খেলার মাঠগুলো ‘দানব ও রাক্ষসেরা’ খেয়ে শেষ পর্যােয় নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
সাঈদ খোকন বলেন, শহরের শিশু-কিশোরদের জন্য খেলাধুলার পর্যাপ্ত মাঠ নেই৷ অথচ তাদের শারীরিক বিকাশের জন্য খেলার মাঠ অত্যন্ত জরুরি। শিশু-কিশোরদের এই অধিকার ফিরিয়ে দিতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭০ জন স্থপতি কাজ করছেন। ২০১৭ সালের মধ্যে এই ৩১টি পার্ক ও খেলার মাঠকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হবে।
সাঈদ খোকন বলেন, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জরিপে বলা হয়েছে, ঢাকা বসবাসের অযোগ্য শহর। এই ঢাকাকে বাঁচিয়ে তুলতে ওই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তা বাস্তবায়নের পর রক্ষণাবেক্ষণ করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সবাই মিলে তা মোকাবিলা করতে হবে। তা বাস্তবায়ন হলে মানুষের ধারণার পরিবর্তন ঘটবে। এসব স্থানে ফ্রি ওয়াই-ফাই ও ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে।
স্থপতি রফিক আজম বলেন, ঢাকা শহরের পার্ক ও খেলার মাঠ সবুজায়ন করতে হলে কাঠের গাছের পরিবর্তে ফলের গাছ লাগাতে হবে৷ খেলার মাঠে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লাগাতে হবে ঘাস৷ এতে গাছগাছালিতে পাখি বাসা তৈরি করবে৷ ফল খেয়ে মানুষের পুষ্টির চাহিদা মিটবে৷ শহরের পরিবেশের সৌন্দর্য বাড়বে৷
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পার্কের মধ্যে খেলার মাঠ রয়েছে। ডিএসসিসি ঢাকা শহরে এ ধরনের উদ্যোগ নিতে হলে আগে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। কারণ, খেলার মাঠে শিশুপার্ক নির্মাণ করা হলে, মাঠ হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে মানুষ। এ জন্য আগে মাঠগুলো সংস্কার করা দরকার। তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহর যত সুন্দর করা হবে, মানুষের আগমন তত বাড়বে।
সেবা দেওয়ার নামে পানির পাম্প ও ময়লা রাখার স্থান নির্মাণ করে শহরের পার্ক ও খেলার মাঠগুলো ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি তাঁর বক্তব্যে বিভিন্ন পার্ক ও মাঠের বর্তমান চিত্র ও তা সংস্কারের পরের অবস্থা নিয়ে আলোকপাত করেন।
মতবিনিময় সভা শেষে ওই ১০টি খেলার মাঠ ও ২১টি পার্কের নতুন নকশার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সাঈদ খোকন। এ সময় ডিএসসিসির বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন স্থপতি উপস্থিত ছিলেন৷
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.