ঢাকা ক্লাবের করা এক আবেদনে গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ক্লাবের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি নামিদামি ক্লাবে জুয়া জাতীয় খেলার উপর তিন মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সামিউল হক ও অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মো. ফারুকের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে জুয়া জাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম যেমন কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যেখানে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়ে থাকে তার আয়োজকদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ঢাকা, খুলনা ও সিলেট এবং র্যাবের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ক্লাবগুলো হলো- ঢাকা ক্লাব লিমিটেড, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমণ্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজিব, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট চৌধুরী মোহাম্মদ রেদোয়ানে খুদা।
ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজিব জানান, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনো প্রকার জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। এসব যুক্তিতে রিটটি দায়ের করা হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.