আসন্ন বিজয় দিবসের পরই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপ করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিএনপি কয়েক দিন ধরেই এই সুযোগ চেয়ে আসছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, রাষ্ট্রপতি সব দলকে আলোচনার জন্য ডাকবেন—এটা অনুমেয় ছিল।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনার জন্য সময় চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছে বিএনপি। সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, এর একটি কপিও দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে বিএনপির প্রতিনিধিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে রাষ্ট্রপতি আলোচনা করবেন। আসন্ন ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পরই আলোচনা শুরু হতে পারে। এর আগে গত ২৩ নভেম্বর আলোচনার জন্য সময় চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরূপ আবেদন পাঠিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সাড়া মেলেনি।
বিএনপির আবেদন নিয়ে দলটির প্রতিনিধিরা বঙ্গভবনে যাওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হন। ১১ ডিসেম্বর তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে ৪০টি। জামায়াতে ইসলামীর ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন দেয়নি।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা ২০১৯ সালে। এর আগে ২০১২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন নিয়ে সমালোচনা হলেও আওয়ামী লীগের জন্য এই কমিশন সম্ভাব্য সবকিছুই করেছে। ভবিষ্যতেও নিশ্চয় দলীয় স্বার্থ বিবেচনা করা হবে। তবে একেবারে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তিরা কমিশনে আসুক—এটাও আওয়ামী লীগের চাওয়া নয়। মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদেরই কমিশনের সদস্য করা হবে। আসলে জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে, তা শুধু কমিশনের ওপর নির্ভর করে না। এর সঙ্গে রাষ্ট্রকাঠামোর অনেক কিছুই সংশ্লিষ্ট।
সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা: বার্তা সংস্থা বাসস রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীনের বরাত দিয়ে জানায়, সংবিধানের ১১৮ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে নিবন্ধন করা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পর এ আলোচনা শুরু হতে পারে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.