বিদেশে ‘হস্তক্ষেপহীন’ সামরিক নীতি গ্রহণ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ট্রাম্প গত মঙ্গলবার তাঁর সামরিক নীতিসংক্রান্ত এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, বিদেশে কোনো সংঘাতে হস্তক্ষেপের বদলে ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার ব্যাপারেই বেশি নজর দেবেন তিনি। নির্বাচনের পর ভোটার-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার নর্থ ক্যারোলাইনায় যান তিনি। সেখানে এক সমাবেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত ‘ম্যাড ডগ’ খ্যাত জেনারেল জেমস ম্যাট্টিসকে পরিচয় করিয়ে দেন ট্রাম্প। নর্থ ক্যারোলাইনার একটি সেনাঘাঁটিতে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা বিদেশি শাসকদের উৎখাত করার চেষ্টা বন্ধ করব। যাঁদের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা নেই, তাঁদের উৎখাত-প্রচেষ্টায় জড়িয়ে যাওয়া উচিত হবে না। বরং সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করা এবং আইএসকে নিশ্চিহ্ন করাই আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। আমরা সেটাই করব।’ নির্বাচনী প্রচারণার সময়ও রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প একই ভাষায় কথা বলেছিলেন। ট্রাম্প বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। একে আবার শক্তিশালী করে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধে বিনিয়োগের পরিবর্তে পুরোনো হয়ে যাওয়া সড়ক, সেতু ও বিমানবন্দর নির্মাণে সে অর্থ ব্যয় করা হবে। তবে সামরিক বাহিনীর ব্যয় কমাবেন না ট্রাম্প। বরং তা বাড়াতে চান বলে তিনি জানান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ক্ষয়িষ্ণু সেনাবাহিনী চাই না। কেননা, আমাদের সেনাবাহিনীকে সব জায়গায় লড়াই করতে হয়। এমন জায়গায়ও আমাদের লড়তে হয়, যেখানে আমাদের যাওয়ার কথা নয়।’ ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে আক্রমণাত্মক ও হস্তক্ষেপের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলব না। বরং এটি হবে প্রতিরোধের প্রতীক।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.