মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজ নিজ দেশের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার শক্তিশালী করার ডাক দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা। বৃহসপতিবার প্রতিরক্ষা প্রধানদের সঙ্গে এক বার্ষিক বৈঠকে পুতিন বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী যেকোন ধরণের শত্রুকে পরাভূত করতে পারে। কিন্তু এরপরও নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা উচিত রাশিয়ার। পুতিন আরও বলেন, ২০১৭ সালের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার শক্তিশালী করা। রাশিয়ান নেতা বলেন, ‘কৌশলগত পারমাণবিক শক্তির সামরিক সম্ভাবনা শক্তিশালী করা প্রয়োজন আমাদের। বিশেষ করে, মিসাইল সক্ষমতা যা বিদ্যমান যেকোনো ধরনের মিসাইল প্রতিরক্ষা সিস্টেম ভেদ করতে পারে এমন সক্ষমতা অর্জন করা প্রয়োজন।’ অপরদিকে ডনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই নিজেদের ‘পারমাণবিক সক্ষমতা ব্যাপকভাবে শক্তিশালী ও বিস্তার’ করতে হবে। তিনি বলেন, তার দেশকে এটা করে যেতে হবে যতক্ষণ বাকি বিশ্বের ‘হুঁশ না ফিরবে’। ট্রাম্পের ট্রানজিশন ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তিনি দেশের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের আধুনিকায়ন করবেন, যাতে করে এটি ‘কার্যকরী প্রতিরক্ষাকবচ’ হিসেবে টিকে থাকে। বর্তমানে, প্রায় ৭ হাজার পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। দেশটির চেয়ে কেবল রাশিয়ারই (কয়েকশ’) বেশি সংখ্যক পারমাণবিক অস্ত্র আছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দশকেই ফুরোবে মার্কিন পারমাণবিক ত্রয়ীর তিন শাখা- ব্যালিস্টিক মিশাইল সাবমেরিন, বোমারু ও ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র- এর কার্যকরী মেয়াদ। এই অস্ত্রভাণ্ডার দেখভাল ও আধুনিকায়নের জন্য ৩০ বছরে প্রয়োজন হবে ১ ট্রিলিয়ন (১০০০০০ কোটি) ডলার। তবে ট্রাম্প যেভাবে আবার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে শুরু করেছেন, তা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নীতির একেবারে বিপরীত। মূলত, শীতল যুদ্ধের সময় আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নে এ নিয়ে বেশি বাগাড়ম্বর হতো। অপরদিকে, ওবামা ২০০৯ সালে প্রাগে এক ভাষণে পারমাণবিক অস্ত্র পুরোপুরি নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.