ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফানের মরদেহ পুনঃময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দিয়াজের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়।
দিয়াজের বড় বোন জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী বলেন, তাঁরা শুনেছেন দিয়াজের হত্যাকারীরা ঢাকাতেও তদন্ত প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। তারা সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্ত চান। সুরতহাল প্রতিবেদনের সঙ্গে যেন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের মিল থাকে। তারা দিয়াজের শরীরে আঘাতগুলোর ব্যাখ্যা চান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওহিদুর রহমানের ভাষ্য, দিয়াজের মরদেহ উত্তোলনের সময় হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। মরদেহ ঢাকার উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
২৩ নভেম্বর পুলিশ জানায়, দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে—এমন আলামত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মেলেনি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়াজের পরিবারসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি অংশ। তারা বলে, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের সঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের কোনো মিল নেই।
৬ ডিসেম্বর সিআইডি দিয়াজের মরদেহের পুনঃময়নাতদন্তের আবেদন করে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রধানের নেতৃত্বে গঠিত তিনজনের প্রতিনিধিদল পুনঃতদন্ত করবে। এ কারণে দিয়াজের লাশ ঢাকায় আসছে।
২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট এলাকার নিজ বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর ২২ দিন আগে দিয়াজসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের চার নেতার বাসায় তাণ্ডব চালানো হয়। ৯৫ কোটি টাকার দরপত্রের ভাগ-বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী নেতা-কর্মীরা ওই হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ভবন নির্মাণের দরপত্রকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আড়াই মাস ধরে একের পর এক পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এই সময়ের মধ্যে অন্তত ছয়বার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.