‘লেজ’ বেরিয়ে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে তা ছেঁটে ফেলতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং। তবু আশার বিপরীতে জ্বলে রইল পাকিস্তানের আশার বাতি। আর সেটা জ্বালিয়ে রেখেছেন আসাদ শফিক। সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। প্রায় অসম্ভব এক জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পাকিস্তানের এখনো প্রয়োজন ১০৮ রান। হাতে আছে ২ উইকেট আর পঞ্চম দিনের পুরোটা। ঠিক ১০০ রান করে উইকেটে আছেন শফিক। তাঁর সঙ্গী ইয়াসির শাহর রান ৪। প্রথম ইনিংসে ১৪২ রানে অলআউট হওয়া পাকিস্তান ম্যাচটাকে এই জায়গায় নিয়ে যাবে বলে কি কেউ ভাবতে পেরেছিল! দ্বিতীয় ইনিংসে কী দুর্দান্তভাবেই না ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান! আজহার আলী, ইউনিস খান, আসাদ শফিকরা ব্যাটিংয়ে দেখালেন দুর্দান্ত প্রয়োগ ক্ষমতা। এই হলো চির অননুমেয় পাকিস্তান। অফ স্পিনার নাথান লায়নের নির্বিষ একটি বলে উচ্চাভিলাষী রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন ইউনিস। না হলে দিন শেষে গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত। দলকে এই অবস্থানে নিয়ে আসায় অবশ্য ইউনিসের অবদান কম নয়। ৫৪ রানে পড়ে গিয়েছিল ২ উইকেট। আজহারের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯১ রান তুলে লড়াইয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন তিনিই। অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক প্রথম ইনিংসের মতোই ব্যর্থ। সরফরাজ খান নিজেকে মেলে ধরার আগেই বিদায় নেন। আজহার-ইউনিস চলে যাওয়ার পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শফিক। অপ্রত্যাশিত উৎস থেকেও আসে রানের ভালো জোগান। মোহাম্মদ আমির যেমন টেস্টে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন। ওয়াহাব রিয়াজের অবদান ৩০ রান। ২২০ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর শফিক লড়াই চালিয়ে যান আমিরকে সঙ্গী করে। সপ্তম উইকেটে গড়েন ৯২ রানের জুটি, রিয়াজকে নিয়ে ৬৬ রান তোলেন অষ্টম উইকেট জুটিতে।
চতুর্থ দিনের বীরত্ব ব্রিসবেন টেস্টের শেষ দিনে দেখাতে পারলে ইতিহাসই গড়বে পাকিস্তান। কিন্তু আশার সলতে বলতে যে ওই আসাদ শফিক
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.