না। কোনো অঘটন ঘটেনি যুক্তরাষ্ট্রে। ৮ই নভেম্বরের নির্বাচনে প্রক্ষেপিত ফল অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হচ্ছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ অনেক রকম বিশ্লেষণ দাঁড় করালেও তাতে ট্রাম্পের ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট প্রয়োজনের নাগালেই ছিল। প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের বেশি তিনি পেয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, ৩০৬ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট থেকে তিনি পেয়েছেন ৩০৪ ভোট। বাকি দুজন ইলেক্টোর তার পক্ষ ত্যাগ করে তাদের ভোট দিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য রন পন ও ওহাইও রাজ্যের গভর্নর জন কাসিচকে। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা দেখা দেয়। রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, টেপ কেলেঙ্কারি, ট্রাম্পের বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য এমন সমালোচনার জন্ম দেয়। রাজনৈতিক বোদ্ধারা পূর্বাভাস দেন, ১৯শে ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ইলেক্টোররা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্বাচন করবেন। তাতে অনেক কমপক্ষে ৩৭ জন ইলেক্টোর ট্রাম্পের পক্ষ ত্যাগ করে ভোট দিতে পারেন হিলারি ক্লিনটনকে। আর যদি তাই ঘটে তাহলে হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। কিন্তু বিশ্লেষকদের সেই পূর্বাভাস সঠিক হয়নি। ট্রাম্পের ৩৭ জন ইলেক্টোর হিলারিকে ভোট তো দেনই নি, তাছাড়া নির্বাচনে প্রক্ষেপিত ২৩২টি ইলেক্টোর থেকে ৪টি ইলেক্টোর হারিয়েছেন হিলারি। ফলে তার ইলেক্টোর ভোটের সংখ্যা ২২৮। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ইলেক্টোরদের আনুষ্ঠানিক ভোট দেয়ার আগে বেশ বড় রকম লবিং করা হয়। তাতে কিছুটা আশা জিইয়ে ছিল ডেমোক্রেটদের মধ্যে। বলা হয়েছিল, নানা বিতর্ক ও ২৮ লাখ পপুলার ভোট বেশি পাওয়ায় ইলেক্টোররা হিলারিকে ভোটে বেছে নেবেন। লবিংটা করা হয়েছিল এ জন্যই। কিন্তু কিছুই কাজে আসেনি। বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। ট্রাম্পকে ভোট দেননি দুজন ইলেক্টোর। অন্যদিকে হিলারিকে ভোট দেননি ৪ জন ইলেক্টোর। ওয়াশিংটনে এই চারটি ইলেক্টোর হারিয়েছেন হিলারি। এর মধ্যে তিনজন ইলেক্টোর ভোট দিয়েছেন কলিন পাওয়েলকে। একজন ভোট দিয়েছেন ফেইথ স্পটেড ঈগলকে। ইলেক্টোরদের এই ভোটের ফল আগামী ৩রা জানুয়ারি সরকারিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.