প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে সব কিছু। এখন যৌন চাহিদা মেটানো যায় সেক্স টয় বা ডল অথবা যৌন রোবট দিয়ে। তবে আধুনিক রোবটবিদ্যা কোনও সহজ বিষয় নয়। কিন্তু রোবটের এই অদ্ভুত ব্যবহার সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টেলিগ্রাফ।
অনেক বিশ্লেষকই ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের রোবটের প্রসার আরও বাড়বে। আর আগামী কয়েক দশকেই এ ধরনের রোবট অত্যন্ত সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে। ফলে এটি ব্যবহার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠবে।
যৌনতায় প্রযুক্তি প্রয়োগের বিষয়ে একজন অগ্রদূত হলেন ড. ট্রুডি বারবার। তিনি সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে রোবটের সঙ্গে ভালোবাসা ও যৌনতার বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, মানুষের যৌনতার প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে ওঠা রোবটের পক্ষে এখন শুধু সময়েরই ব্যাপার।
তার মতে, দম্পতিরা ভবিষ্যতে নিজেদের মাঝে যৌনতার বিষয়টিকে শুধুই কোনো বিশেষ দিনের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখবে। তার বদলে রোবটের সঙ্গে যৌনতা করবে সারা বছর।
বর্তমানে বেশ কিছু যৌনতায় পারদর্শী রোবট বাজারে এসেছে। এগুলোর মধ্যে একটির নাম রকি বা রক্সি। প্রায় সাত হাজার ডলার মূল্যের নারী রোবটটি যৌনতায় বেশ পারদর্শী। এ ধরনের আরও কিছু রোবটের উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে বর্তমানে বাজারে যে রোবটগুলো রয়েছে, ভবিষ্যতে এমন সব রোবট আসবে, যেগুলো যৌনতার কাজগুলো ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রোবটের প্রযুক্তি ক্রমে সহজলভ্য হয়ে উঠছে। অতীতে রোবট প্রযুক্তি বহু ব্যয়বহুল হলেও এখন আর তা থাকছে না।
রিকি মা নামে হং-কংয়ের এক ব্যক্তি রোবট তৈরির কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই তারকা স্কারলেট জোহানসনের মতো রোবট তৈরি করেছেন ৩৫ হাজার ডলার ব্যয়ে। এ ধরনের প্রযুক্তি আরও প্রসারিত হলে মানুষ তার মনের মতো তারকাকে বিছানাতেই পেয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে যৌনতার বিষয়গুলো আর আগের মতো থাকবে না।
বর্তমানে যৌনতার জন্য বাজারে সহজলভ্য শুধু নারী রোবটই। তবে অদূর ভবিষ্যতে পুরুষ রোবটও বাজারে সহজলভ্য হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এতে পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে চিন্তা করছেন বিশ্লেষকরাও।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.