এনামুল হক বিজয় ও তুষার ইমরানের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে সাড়ে ৩০০ ছাড়ানো রান পেয়েছে খুলনা বিভাগ। ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম স্তরের এই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে বরিশালের ১৭১ রানের জবাবে খুলনা তুলেছে ৩৭১। দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০ রান। এখনো ১৯০ রানে পিছিয়ে রয়েছে বরিশাল। এদিকে, সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন রংপুর বিভাগের সোহরাওয়ার্দী শুভ। চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসে খুলনার সংগ্রহটা আরো বড় হতে পারত। ৪ উইকেটে ৩৫১ রান তোলা খুলনা শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ২০ রানে! তাতে বড় অবদান বরিশালের স্পিনার মনির হোসেনের। বরিশালের শেষ ৭ উইকেটের ৬টিই নিয়েছেন তিনি। ১ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে বুধবার বিকেএসপিতে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল খুলনা। আগের দিনের ৫৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা মেহেদী হাসান দিনের চতুর্থ ওভারেই আউট হয়ে ফিরে যান (৫৭)। এরপরই তৃতীয় উইকেটে ২১৭ রানের বিশাল এক জুটি গড়েন এনামুল ও তুষার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে এনামুল ১৩৬ (১১টি চার এবং ৬টি ছক্কা) করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। চা-বিরতির পর রেকর্ড ১৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তুষার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন এককভাবে তার। ১৮টি সেঞ্চুরি নিয়ে এতদিন রেকর্ডটা মোহাম্মদ আশরাফুল ও অলোক কাপালির সঙ্গে ভাগাভাগি করছিলেন তুষার। এবার সেটা তিনি নিজের করে নিলেন। তুষার ১০৮ করে (১৯১ বলে ১২টি চার এবং ১টি ছক্কা) দলীয় ৩৫১ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার পরই দ্রুত অলআউট হয়ে যায় খুলনা। তুষারের উইকেটসহ ইনিংসে ৬৬ রানে ৬ উইকেট নেন মনির। সালমান হোসেন নেন ২টি উইকেট। ২০০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রান তুলে দিন শেষ করেন শাহরিয়ার নাফীস ও আবু সায়েম। শাহরিয়ার ৪ এবং সায়েম ৫ রানে অপরাজিত আছেন। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বুধবার ৬২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। মধ্যাহ্ন বিরতির পর তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন শুভ। এর আগে তার রান ছিল ৮৫। ১৬৭ বলে ১৩টি বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের তৃতীয় প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরির স্বাদ পান। আরিফ আহমেদের বলে ১ রান নিয়ে তিন অঙ্কের ঘরে পেঁৗছন রংপুরের এই ক্রিকেটার। মঙ্গলবার প্রথম দিন ক্রিজে আসেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। দলের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৯০। প্রথম দিন শেষে শুভ ৬২ রানে অপরাজিত থাকলেও আরিফুল ৫২ রানে সাজঘরে ফেরেন। বুধবার দ্বিতীয় দিনেও দারুণ ব্যাটিং করেন শুভ। আলাউদ্দিন বাবুকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ১১৭ রান যোগ করেন শুভ। এ সময় সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। আলাউদ্দিন বাবুও হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন। তাদের দৃঢ়তায় রংপুর বিভাগ ৪৫০ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তুলেছে। দিন শেষে চট্টগ্রাম ২ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান সংগ্রহ করেছে। অভিষেক ২৮ এবং পিনাক ঘোষ ১৮ রানে সাজঘরে ফিরলেও তাসামুল ১১ এবং ইরফান শুক্কুর ২৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন। এদিকে, ফতুল্লা স্টেডিয়ামে দুই ঢাকার ম্যাচে মেট্রো দল ৬ রানে লিড নিয়েছে। হাতে রয়েছে আরো ৬ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ১৬৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৭ রান। মোহাম্মদ শরীফ ও শাহাদাত হোসেনের বোলিংয়ে ঢাকা মেট্রোর ব্যাটিংয়ে ধস নেমেছে। দুজনই দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এর আগে ঢাকা বিভাগ প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে। মিনহাজ খান ৪৩, জাহিদুজ্জামান ৩২ এবং মোহাম্মদ শরীফ ২৭ রান করেন। মেট্রোর বোলার শহীদুল ইসলাম এবং আশরাফুল ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.