ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাত বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার কাছাইট গ্রামের একটি সবজির খেত থেকে গতকাল বুধবার লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশুটিকে হত্যার আগে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার জগতসার গ্রামের বাসিন্দা আরশাদুল মিয়াকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ। নিহত শিশুটির নাম তোফা মনি। সে কাছাইট পশ্চিম-উত্তরপাড়া গ্রামের মাওলানা শফিকুল ইসলামের মেয়ে ও কিন্ডারগার্টেনে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। নিহত শিশুর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের কাছাইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এক মাহফিলে যেতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তোফা বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুল মাঠে একটি দোকানে চকলেট কিনতে দেখে তাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন তার বড় ভাই মোবাশ্বের হোসেন। রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে মোবাশ্বের দেখেন, তোফা তখনো ফেরেনি। গতকাল সকালে গ্রামের একটি সবজিখেতে লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় সদর থানা-পুলিশ। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নারায়ণ চন্দ্র দাস প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের তিন চিকিৎসকের একটি বোর্ড গতকাল বিকেলে শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত করেন। বোর্ডের এক সদস্য বলেন, শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে আলামত পাওয়া গেছে। গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে তাকে। শিশুটির চাচাতো ভাই হারুন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বোন স্কুল মাঠে যে দোকান থেকে চকলেট কিনেছিল, সেই দোকানির নাম আরশাদুল। এ ঘটনার জন্য তাঁকেই সন্দেহ করছেন তাঁরা। আরশাদুলকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করার কথা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত শিশুর পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.