নিজে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকলে কলিন মানরো নাকি বাংলাদেশকেই বারে বারে প্রতিপক্ষ হিসেবে চাইতেন। সেটি ওয়ানডেই হোক, আর টি-টোয়েন্টি! রেকর্ড তা-ই বলছে। মাশরাফিদের সামনে পেলেই যেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের মনে পড়ে, ‘আরে, আজই তো ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ স্কোর করার দিন!’ ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেও সম্ভবত এই ভাবনা নিয়েই খেলতে নেমেছিলেন। টম ল্যাথামের ১৩৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটার আড়ালে চলে গেছেন, তবে বাংলাদেশের বোলারদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন মানরোই। ৮৭ রান করেছেন মাত্র ৬১ বলে। ১৬ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটি মানরোর সর্বোচ্চ স্কোর। আগের সর্বোচ্চ ৮৫ রানও বাংলাদেশেরই বিপক্ষে, করেছিলেন ২০১৩ সালে ‘বাংলাওয়াশ’ হওয়া সিরিজে ফতুল্লায় তৃতীয় ওয়ানডেতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিজ্ঞতা বলতে এই দুটি ম্যাচই। দুবারই করেছেন ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ স্কোর। বাংলাদেশ সময় কাল ভোরে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেটিকে তিনে তিন নিশ্চয়ই হতে দিতে চাইবেন না মাশরাফিরা। টি-টোয়েন্টিতেও দুবার বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছেন মানরো। সেখানেও প্রায় একই চিত্র। ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ৭৩। বাংলাদেশেরই বিপক্ষে। ২০১৩ সালের ওই সফরেই ঢাকায়। সেবার সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ড করে ২০৪ রান, ম্যাচও জেতে, সেটি মানরোর ৩৯ বলের ঝড়ের সৌজন্যেই। আরেকটি টি-টোয়েন্টি গত বিশ্বকাপে কলকাতায়, তাতে করেছেন ৩৫ রান। কাল নেলসনে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে যখন খেলতে নামবেন মাশরাফিরা, মানরোকে ফেরানোর পরিকল্পনাটা তাই ‘আর্জেন্ট’ তালিকাতেই রাখতে হবে। প্রথম ওয়ানডেতে সেটি করতে না পারার মূল্যই দিতে হয়েছে ৭৭ রানে ম্যাচ হেরে। ব্যাটিং উইকেট ছিল, তাতে ২৮০-৩০০ রানকেই স্বাভাবিক ধরে রেখেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। কিন্তু সেটি পেরিয়ে নিউজিল্যান্ড যে ৩৪১ রানে গিয়ে ঠেকল, সেটি পঞ্চম উইকেটে ল্যাথাম-মানরো জুটির কারণে। ১৫৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে দুজন এনে দেন আরও ১৫৮! ল্যাথাম জুটিতে হাল ধরেছেন, মানরো উড়িয়েছেন পাল। ম্যাচটা তো ওখানেই বাংলাদেশের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর সময়টা অবশ্য ফুরফুরে মেজাজেই কাটিয়েছেন মানরো, পেসার ম্যাট হেনরিকে নিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন ভক্তদের সঙ্গে তাহুনানুই বিচে। তবে এই সিরিজে নিজের লক্ষ্য নিয়ে নাকি বেশ ‘সিরিয়াস’ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত হলেও এখনো ওয়ানডে ও টেস্টে ঠিক জায়গাটা পাকা করে নিতে পারেননি। এই সিরিজে নিজেকে ‘শুধুই টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ নন’ প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নিয়েই নেমেছেন মানরো। তাঁর দিকে তো আলাদা করে নজর রাখতেই হবে মাশরাফিদের। তথ্যসূত্র: স্টাফ নিউজিল্যান্ড।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.