চেনা নেলসনে আত্মবিশ্বাসী তামিম

ক্রাইস্টচার্চে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। তবে নেলসনে গিয়েই তারা যেন আত্মবিশ্বাসী। গত বিশ্বকাপে এখানেই স্কটল্যান্ডের ৩১৮ রান তাড়া করে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিল টাইগাররা। তাই সেখানে পেঁৗছেই চনমনে বাংলাদেশ দল। গতকাল সকালে নেলসনে পেঁৗছে স্থানীয় ট্রেইলওয়েজ হোটেলে উঠেছেন মাশরাফি-সাকিবরা। ক্রাইস্টচার্চের মতো নেলসনে তেমন ঠাণ্ডা নেই। তাই সবকিছু পরিচিত মনে হচ্ছে তাদের কাছে।

গতকাল অবশ্য অনুশীলন করেনি বাংলাদেশ দল। পুরো দিন বিশ্রাম করেই কাটিয়েছে। এর মধ্যে বিকেলে হোটেল প্রাঙ্গণেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সেই জয়ের নায়ক তামিম ইকবাল। তারকা এ ওপেনারের ৯৫ রানের ইনিংসের ওপর করেই স্কটিশদের ৬ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তামিম জানিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতা কিউইদের বিপক্ষে কাজে লাগবে, ‘এখানে একটা ম্যাচ খেলেছি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বড় রান তাড়া করে জিতেছিলাম আমরা। দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের এখানে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেটা অবশ্যই এ সিরিজে কাজে লাগবে।’ ওয়ানডে সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচই নেলসনের সাক্সটন ওভালে। সিরিজে টিকে থাকার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাও কোনো ভণিতা ছাড়াই বলেছেন তামিম, ‘নেলসনের ম্যাচটি কী, তা আমরা জানি। দ্বিতীয় ম্যাচটি হেরে গেলেই সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই এ ম্যাচ জেতার জন্য যা যা করতে হয় তা সবই আমরা করব। আমাদের যা সামর্থ্য তাতে করে এখানে জেতা সম্ভব। মাঠটিও আমাদের পরিচিত বলে আত্মবিশ্বাসও আছে আমাদের।’

তবে একটি শঙ্কাও আছে তামিমের মনে। গত বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে যেমন উইকেটে তারা খেলেছিলেন আগামী ম্যাচে সেটা নাও থাকতে পারে বলেই শঙ্কা তার, ‘তখন যেমন উইকেট পেয়েছিলাম এবার তা নাও পেতে পারি। কিন্তু মাঠের ব্যাপারে আমাদের যে ধারণা আছে তা এ যাত্রায় বেশ কাজে দেবে। ক্রাইস্টচার্চের ম্যাচের অভিজ্ঞতায় আমরা বুঝতে পেরেছি প্রতিপক্ষকে ২৮০ বা ৩০০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারলে জয়ের ভালো সম্ভাবনা থাকবে।’ তবে এখানে কথা হলো, ক্রাইস্টচার্চের ৭৭ রানের বড় হারের প্রভাব দূরে ঠেলে এত অল্প সময়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ দল? তামিম অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী, ‘সেখানে আমরা ভালো খেলিনি ঠিকই; কিন্তু ওই ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে ভালো খেলে জয় বের করে আনা সম্ভব। ব্যক্তিগতভাবে সবাই যার যার ভুলগুলো শনাক্ত ও শোধরানোর কাজ করছে।’ গতকাল রাতে টিম মিটিংয়ে এসব ভুল থেকে বের হওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তারকা এ ওপেনার। তিনশ’র ওপরে রান তাড়া করে জয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার প্রতিও গুরুত্ব দিতে চান তিনি, ‘৩৪০ রান তাড়া করা যায়। বিশ্ব ক্রিকেটে এটা এখন হরহামেশাই হচ্ছে। ৩০০ রান তাড়া করে জয়ের অভ্যাস আমাদের তেমন নেই। এ অভ্যাস করাটা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের দেশের কন্ডিশনে ৩০০ রান তাড়া করে জেতা খুব একটা হয় না। ২৬০ থেকে ২৮০ রানই খুব একটা হয় না। কিন্তু এখানে ৩৩০-৩২০ রান নিয়মিতই ওঠে।’