বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এরপরও ফাঁকা মাঠে জয় পেতে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েন।
ভোট কেন্দ্রগুলোতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সংঘাতকারী সবাই সরকারি দলের হওয়ায় অনেক স্থানেই তাদের (পুলিশ) ‘নীরব দর্শকের’ ভূমিকায় দেখা গেছে। তবে অধিকাংশ জেলায় ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের জয়জয়কার। বুধবার ৩৮ জেলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৪ জন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। বাকি জেলাগুলোতে ১০ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান হয়েছেন।
এর আগে ২১ জেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। সব মিলিয়ে ৪৫ জেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হলেন।
বগুড়া ও কুষ্টিয়ায় আদালতের নির্দেশে চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত রয়েছে। এছাড়া জেলা পরিষদ আইনের আওতাভুক্ত না হওয়ায় পার্বত্য তিন জেলায় নির্বাচন হয়নি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আইনি জটিলতার কারণে ১৭টি জেলার অন্তত অর্ধশত ভোট কেন্দ্রে বুধবার ভোট গ্রহণ স্থগিত ছিল।
নির্বাচন কমিশন ৬১ জেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণা করলেও ভোলা ও ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ওই দুই জেলায় ভোট গ্রহণ হয়নি।
ভোট গ্রহণের আগেই জেলা পরিষদের ২১ জন চেয়ারম্যান, ৬৯ জন সংরক্ষিত সদস্য ও ১৬৬ জন সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.