প্রিভেন্ট কর্মসূচির আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, মসজিদে, হাসপাতালে, খেলার মাঠে কিশোর, তরুণ, যুবকদের ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছে। তাদের আচরণে সন্দেহজনক কিছু দেখলে তা পুলিশকে এবং অভিভাবকদের জানানো হচ্ছে।
অনেক রাজনীতিক, শিক্ষক এবং মুসলমানদের প্রধান একটি সংগঠন মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন এ কর্মসূচির প্রতিবাদ করছে। তাদের বক্তব্য এতে মুসলিম সম্প্রদায়কে মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হচ্ছে, যা জঙ্গিবাদ দমনের লড়াইয়ে উল্টো ফল দেবে।
তবে সাইমন কোল বলছেন, প্রিভেন্টকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমরা তরুণদের মনোভাব বদলের চেষ্টা করছি, তাদের সামনে সুযোগ তুলে ধরছি যাতে তারা বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
প্রিভেন্ট কর্মসূচির আওতায় গত এক বছরে ৭ হাজার ৫০০ কিশোর-তরুণ-যুবককে ‘রেফার’ করা হয়েছে অর্থাৎ কট্টর মনোভাব ধারণ করার সন্দেহে তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
পুলিশের হিসাবে তাদের ১০ শতাংশ জঙ্গিবাদে জড়ানোর বড় ধরনের ঝুঁকিতে ছিল। কর্মকর্তারা দাবি করছেন, প্রিভেন্ট কর্মসূচির কারণে সিরিয়ায় এবং ইরাকে গিয়ে আইএসের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য অন্তত দেড়শ’টি উদ্যোগ ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.