অভিনেতা মাহমুদুল ইসলাম মিঠু। মিডিয়ায় বড়দা মিঠু হিসেবেই পরিচিত। রাজবাড়ীর সন্তান মিঠুর অভিনয়ে যাত্রা শুরু রাজবাড়ীর ‘চারণ থিয়েটার’-এর মধ্য দিয়ে ১৯৮১ সালে। এই থিয়েটারের হয়ে তিনি অভিনয় করেন ‘বাসন’, ‘এখনো কৃতদাস’, ‘তোমরাই’সহ আরো বেশ কয়েকটি নাটকে। এরপর ১৯৯০ সালে ঢাকায় এসে ‘ঢাকতা থিয়েটার’-এর সঙ্গে কাজ শুরু করেন। প্রথম একবছর মঞ্চের পিছনে কাজ করলেও এরপর তিনি এই দলের হয়ে অভিনয় করেন ‘মুনতাসির ফ্যান্টাসী’, ‘ধুর্ত উই’, ‘হাত হদাই’সহ আরো বেশ কয়েকটি নাটকে। তবে টিভি নাটকে মিঠুর অভিষকে হয় রওশন আরা নীপার নির্দেশনায় ‘গোধূলী লগনে’ নাটকে। নাটকটি ২০০১ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হয়। একই বছরে তিনি মিনহাজুর রহমানের নির্দেশনায় ‘তমশ’ নাটকেও অভিনয় করেন। পাশাপাশি বিবেশ রায়ের নির্দেশনায় কাহিনীচিত্র ‘ধানের কাব্য’তেও অভিনয় করেন। এতে তার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন চিত্রনায়িকা মুনমুন। মিঠু অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ছিল ‘সংসার’। মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর নির্দেশনায় ‘জীবন মানে যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। তবে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘আগে যদি জানতাম তুই হবি পর’, ‘বুঝে না সে বুঝে না’ এবং ‘ডার্লিং’ চলচ্চিত্রে তার অভিনয় ছিল প্রশংসনীয়। সরকারি অনুদানের তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মাহমুদুল ইসলাম মিঠু। সেগুলো হচ্ছে রওশন আরা নীপার ‘মহুয়া সুন্দরী’, মানিক মানবিকের ‘শোভনের স্বাধীনতা’ এবং প্রসূন রহমানের ‘সূতপার ঠিকানা’। মালেক আফসারীর নির্দেশনায় বড়দা মিঠুকে ‘অন্তর জ্বালা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে একজন কসাইয়ের চরিত্রে। যা একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্র বলেই মনে করেন মিঠু। নিজের অভিনয় জীবন নিয়ে মিঠু বলেন, তিনটি মাধমে কাজ করলেও আমি সবসময় আনন্দ পাই মঞ্চে অভিনয় করতে। টিভি নাটকে এবং চলচ্চিত্রে ব্যস্ত বলে মঞ্চে আর আগের মতো সময় দিতে পারি না। কিন্তু খুব মিস করি মঞ্চকে। এই মুহূর্তে আমি আমার অবস্থান নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। প্রতিনিয়তই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। যারা আমাকে নিয়ে আমার অভিনয় জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কাজ করছেন তাদের প্রত্যেকের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। বেশি কৃতজ্ঞ নির্মাতা মিনহাজুর রহমান, ক্যামেরাম্যান গোলাম মোস্তফা এবং সর্বোপরি আমার রাজবাড়ীবাসীর কাছে। মাহমুদুল ইসলাম মিঠু অভিনীত ‘সংসার’, ‘সোনার হরিণ’, ‘থার্ড জেনারেশন’, ‘আক্কেলে মীরাক্কেল’সহ আরো বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নিয়মিত বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। মিঠুর স্ত্রী জয়া। তার দুই ছেলে সুপ্রীত, রোহিত এবং একমাত্র মেয়ে জয়িতা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.