লকি ফার্গুসনের বলটা কীভাবে ঠেকালেন মাহমুদউল্লাহ? পরপর দুই উইকেট পড়েছে দলের। হ্যাটট্রিকের আশায় ছুটে আসছেন ক্রিকেটের নবীনতম ‘গতিদানব’। ১৪৭ কিলোমিটার গতির ইয়র্কার। ফার্গুসনের ও রকমই এক ইয়র্কারে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোল্ড হয়েছিলেন। পরশু এই বলটি ছিল আরও গতির ও ভয়ংকর। মাত্রই উইকেটে আসা এক ব্যাটসম্যানের পক্ষে অমন বল ঠেকানো প্রায় দুঃসাধ্য। মাহমুদউল্লাহ দুঃসাধ্য সাধন করতে পেরেছেন বলেই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ‘একটু-আধটু’ আক্ষেপের গল্প তৈরি হয়েছে। না হলে আক্ষেপ নয়, লজ্জার রেকর্ড নিয়ে কথা বলতে হতো সবাইকে। ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস যাচ্ছিল সেদিকেই। ৫২ রানের ইনিংসটি খেলতে একদম সঠিক মুহূর্তটাই বেছে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। দলের জন্য তো বটেই, নিজের জন্যও! সফরটা শুরু হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। তিন ওয়ানডেতে সাকল্যে ৪ রান। এই ইনিংসটাই তাঁর মুখে একটু হাসি ফিরিয়ে এনেছে, ‘ওয়ানডেতে কিছুই করতে পারিনি। গতকাল (পরশু) কিছুটা সময় উইকেটে ছিলাম তাই একটু ভালো লাগছে। বরাবরই বলি, ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং যা-ই হোক দলের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগে।’ নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের অন্যতম ভরসার নাম মাহমুদউল্লাহ। নিউজিল্যান্ডে গত বিশ্বকাপে কিউইদের বিপক্ষেই করেছিলেন অপরাজিত ১২৮ রান। অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তুতি পর্বেও ব্যাটে রান ছিল তাঁর। কিন্তু ওয়ানডের ব্যর্থতা বড় এক ধাক্কা দিয়েছিল সে বিশ্বাসে। তবে মাহমুদউল্লাহ নিজের নয়, দলের ফর্মে ফেরা নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন ‘দেশের বাইরে খেলা সব সময়ই কঠিন। তবে মনে হয় নিশ্চিতভাবে আস্তে আস্তে আমরা উন্নতি করছি।’ সিরিজের প্রথম চারটি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ বিশ্বাস করেন সুযোগ হাতছাড়া না করলে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত জয়হীন থাকত না, ‘গত ম্যাচেও খুব ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। এখন চিন্তা হলো এরপর সুযোগ এলে তা যেন কাজে লাগাতে পারি।’ মাহমুদউল্লাহ আশায় আছেন, মঙ্গানুইয়ে ধারাটা বদলে যাবে, ‘নিউজিল্যান্ড নিজেদের মাঠে খুবই ভালো দল। তবে ওদের হারানোর সামর্থ্য আমাদের আছে। দল হিসেবে খেলতে পারলে আমরা অবশ্যই জিতব।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.