১৯৭১ সালের জুন মাস। ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াই। সেই অস্থির সময়েই ক্রিকেট বিশ্বে আগমন ঘটেছিল এক কিংবদন্তির। দীর্ঘ ২১ বছরের ক্যারিয়ার শেষে যিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে। বলা হচ্ছে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের কথা। ১৯৯২ সালের আজকের এই দিনেই ইমরান খেলেছিলেন নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচটি। শেষ হয়েছিল টেস্ট ক্রিকেটের বর্ণিল এক অধ্যায়।
১৯৯২ সালের শুরুতেই ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন ইমরান। কিন্তু সে বছরের বিশ্বকাপের আগ দিয়ে আবার অবসর ভেঙ্গে ফিরেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়া-উল-হকের অনুরোধে। সেবার বিশ্বকাপ জিতে বিদায়টাও নিয়েছিলেন রাজার মত।
২১ বছরের আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট জীবন পাড়ি দেয়া ইমরান খান এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের সেরা ও সফল অধিনায়ক হিসেবে খ্যাত। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট টিমে খেলেছেন এবং অধিনায়কত্ব করেছেন ১৯৮২-১৯৯২ সাল পর্যন্ত। তবে মজার ব্যাপার হলো, ১৯৮৮ সালে ইমরান একবার নিয়েছিলেন অবসরের সিদ্ধান্ত। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ও প্রেসিডেন্টের অনুরোধে ফিরে এসেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
ইমরান খানের টেস্ট অভিষেক হয় ১৯৭১ সালের ৩ জুন বার্মিংহামে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান টেস্ট ইনিংসের মধ্য দিয়ে। আর একদিনের আর্ন্তজাতিক ম্যাচে অভিষেক হয় ১৯৭৪ সালের ৩১ আগস্ট নাটিংহামে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়েই।
২১ বছরের দীর্ঘ ক্যরিয়ারে মোট ৮৮টি টেস্ট খেলেছেন ইমরান। ১২৬ ইনিংসে করেছেন ৩,৮০৭ রান। গড় ৩৭.৬৯। সেঞ্চুরি আছে ৬টি, হাফ সেঞ্চুরি ১৮টি। সবোর্চ্চ স্কোর ১৩৬। ডানহাতি ফাস্ট বোলিং-এ উইকেট নিয়েছেন ৩৬২টি।
একদিনের আর্ন্তজাতিক ম্যাচ খেলেছেন ১৭৫টি। ব্যাট হাতে ৩,৭০৯ রানের পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১৮২টি।
অধিনায়ক হিসেবে ইমরান ছিলেন আরও সফল। তাঁর নেতৃত্বে ৪৮টি টেস্ট খেলে ১৮টিতেই জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। হেরেছিল মাত্র ৮টিতে। ড্র হয়েছিল ২৬টি ম্যাচ। এছাড়া ১৩৯টি একদিনের ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে পাকিস্তানের জয় ৭৭টি, পরাজয়৫৭টি এবং ড্র ১টি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.