মা চাঁদা না দেয়ায় মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করেছে সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল আহাম্মেদ ওরফে দুলাল ডাকাত। শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার দুলালের বাড়ি থেকে শিশু কন্যাসহ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এসময় দুলাল চেয়ারম্যানের অপর আস্থানা আবদুর রহমানের বাড়ি থেকে চায়না ৭.৬২ পিস্তলের ১৩ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর শনিবার রাতে ধর্ষিতা বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রোববার ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষিতা বলেন, তার বাবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ায় ব্যাংকে রক্ষিত টাকা তোলার পর থেকেই দুলাল আহম্মেদ আমার বড়ভাই মো. শেখ রাসেলের কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিলো। শুক্রবার গভীর রাতে মায়ের কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
তিনি বলেন, চাঁদার টাকা না দেয়ায় তার নির্দেশে ও তার সহযোগীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টেনে-হেঁচড়ে আমাকে ও আমার শিশুকন্যাকে (২বছর ৬মাস) তুলে নিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে।
খবর পেয়ে গৌরীপুর থানার এসআই রিপন চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ শনিবার অভিযান চালিয়ে দুলাল আহাম্মেদের কক্ষ থেকে শিশুকন্যাসহ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে। এ সময় দুলাল ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
এসআই রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, অভিযানের সময় দুলালের আরেক আস্থানা সোনাকান্দি গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে আবদুর রহমানের ঘর থেকে পলিথিন ও কস্টটেপে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় চায়না ৭.৬২ মডেল পিস্তলের ১৩ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
গৌরীপুর থানার ওসি দেলোয়ার আহম্মদ জানান, দুলাল আহাম্মেদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, নারী নির্যাতনের একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.