তবে এখনো বিক্ষপ্তিভাবে দু-একটি ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে মনে করেন তিনি।
সোমবার ডিএমপি সদর দফতরে গুলশান হামলা ঠেকাতে গিয়ে নিহত দুই পুলিশ সদস্যের পরিবারকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এই বিপদগামী জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের মানবতা নেই, ধর্ম নেই। তারা ধর্মীয় উপাসনালয়ে ঢুকে মানুষ হত্যা করে। তারা মানবজাতির শত্রু। তারা যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটাবে না তার নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড ও তাদের অনেক সহযোগী পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছে। অনেকে গ্রেফতার হয়েছে। আবার অনেক জঙ্গিকে চিহ্নিত করা গেছে, অনেককে চিহ্নিত করা বাকি আছে। পুরো গ্যাংকে গ্রেফতার করা এবং আরও তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর সময়মতো এ মামলার চার্জশিট দেয়া হবে।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তারা জঙ্গি দমনে নিরলসভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এই ইউনিটের অক্লান্ত পরিশ্রম ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে জঙ্গিদের নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের অর্থদাতা, আশ্রয়দাতা, অস্ত্রদাতা, প্ররোচণাকারী ও উস্কানিদাতাদের চিহ্নিত করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের সকল পেশার মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় আমরা জঙ্গি নেওয়ার্ক ধ্বংস করতে পেরেছি। জঙ্গিবাদের বিষবৃক্ষ স্বমূলে উৎখাত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
অনুষ্ঠানে গুলশান হামলায় নিহত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিনের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ করে মোট ২০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.