এরমধ্যে ইরাক ও সিরিয়াতেই ২৪ হাজারেরও বেশি বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সোমালিয়া এবং লিবিয়াতেও বোমা ফেলেছে তারা।
মার্কিন সামরিক সদর দফতর পেন্টাগন প্রকাশিত পরিসংখ্যানের বরাতে ‘কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন’ নামে দেশটির একটি থিংট্যাংকের সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর দি ডন’র।
এতে বলা হয়েছে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় ১২ হাজার ১৯২টি, ইরাকে ১২ হাজার ৯৫টি, আফগানিস্তানে এক হাজার ৩৩৭টি, লিবিয়ায় ৪৯৬টি, ইয়েমেনে ৩৪, সোমালিয়ায় ১৪ এবং পাকিস্তানে ৩টি বোমা ফেলেছে।
এর আগে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছয় মুসলিম দেশ সিরিয়ায়, ইরাকে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন এবং সোমালিয়ায় ২৩ হাজার ১৪৪টি বোমা ফেলেছিল। পরে বছর ওই ছয়টি দেশের সঙ্গে লিবিয়াতেও বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তানে ড্রোন হামলা হ্রাস
এদিকে কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনের সমীক্ষা বরাতে পাকিস্তানী সংবাদপত্র দি ডন জানিয়েছে, দেশটিতে মার্কিন ড্রোন বিমান হামলার সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক হারে হ্রাস পেয়েছে।
গত বছর দেশটিতে মাত্র তিনবার মার্কিন ড্রোন হামলা চালানোর তথ্যের বরাতে এ কথা জানানো হয়।
ডন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে সরে ইরাক ও সিরিয়ার উপর পড়ায় ড্রোন হামলা হ্রাস পেয়েছে।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক জোট।
এরপর তালেবান যোদ্ধারা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয়ভাবে শাসিত উপজাতি এলাকা ফাটায় আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে পাকিস্তান-আফগানিস্তানে হামলা চালাতো তারা।
ফাটা এলাকার তালেবান যোদ্ধাদের দমন করার কথা বলে নিয়মিতই ড্রোন হামলা চালিয় আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর শিকার হয়ে নারী ও শিশুসহ বহু সাধারণ মানুষও নিহত হয়।
২০১৪ সালের জুন থেকে ফাটা অঞ্চলে লুকিয়ে থাকা তালেবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান শুরু করে পাকিস্তান সেনা বাহিনী। এরপর সেখানে তালেবান তৎপরতা হ্রাস পায়। পাশাপাশি মার্কিন ড্রোন হামলার সংখ্যাও নাটকীয়ভাবে কমে আসে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.