স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বন্ধুর মতো হবে। একজন আরেকজনকে সব কথা অকপটে বলতে পারবেন। হিসাব করে তো স্ত্রীকে কেউ কথা বলেন না। তবু কিছু কথা না বলাই ভালো। যা আপনার দাম্পত্যে ঝামেলা সৃষ্টি করবে। আপনি হয়তো হেসেই একটা বলেন, তুমি অমুকের বউয়ের মতো না? শ্রাবণের ঝরঝর হয়তো ঝরল না, কিন্তু মনের মধ্যে যে অভিমানের এভারেস্ট হয়ে গেল, সে খবর আপনার অগোচরে থেকে গেল। একজন মানুষকে অহেতুক এই কষ্ট দেবেনই বা কেন? তাহলে উপায়? জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকার মনে করেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধার ব্যাপার পুরো বিষয়টিতে। ইচ্ছে করে যে এটি করেন, তা-ও নয়। কেউ কেউ অন্যকে ছোট করে, খোঁচা দিয়ে কথা বলে একধরনের বিকৃত আনন্দ পান। নিজের স্ত্রীকে ছোট করলে নিজেকেও ছোট হতে হয়। এটা অনেকে বুঝতে পারেন। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার ভারসাম্য থাকা দাম্পত্যে জরুরি।
তোমাকে কেমন জানি দেখাচ্ছে, সুন্দর করে সাজতে পারো না—এ ধরনের কথা স্ত্রী কেন, ছেলেদের বললেও মনে কষ্ট পাবেন তাঁরা। বিশেষ করে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে তুলনা করলে স্ত্রীকে অপমান করা হয়। বাহ্যিক সৌন্দর্য সবকিছু নয়, মনের সৌন্দর্য খুঁজে দেখার চেষ্টা করুন। এ ধরনের পোশাক কেন পরেছ, তোমাকে একদম মানাচ্ছে না। এগুলো বলবেন না।
খাওয়া নিয়ে কোনো কথা নয়
না বুঝে বা বুঝেই স্ত্রীর খাবার খাওয়া নিয়ে স্বামী দু-চারটা কথা বলেন অনেক সময়। সাধারণ আদবকেতার মধ্যে এটি পড়ে। কোনো মানুষকে তাঁর খাওয়ার বিষয়ে কিছু বলা উচিত নয়। কেউ বেশি খান, কেউ কম—একেক জনের খাদ্যাভ্যাস একেক রকম। সেটা মাথায় রাখতে হবে। স্ত্রীর প্রতি সচেতন থাকলে বুঝিয়ে খুবই বিনয়ের সঙ্গে বলবেন। কোনোভাবেই যেন ব্যঙ্গ না হয়।
সারা দিন কী করছ, কিছু তো করতে পারো না
অনেক স্বামীর মুখে এ ধরনের কথা শোনা যায়। গৃহিণী তো বটেই, নিস্তার মেলে না কর্মজীবী নারীরও। সহযোগিতা না করে ঘরে ফিরে কোনো কোনো স্বামী বলেন, অন্যের বউ সবই সামলায়। তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না। তোমার মায়ের মতো হয়েছ।
এগুলো বলা মানে হলো, আপনার মনমানসিকতা কতটা নিচু, তার প্রকাশ করে।
আমার মায়ের মতো করো
ধরেন, একদিন শখ করে স্ত্রী ইলিশ মাছ রান্না করলেন। খেতে খেতে আপনি বললেন, আমার মায়ের মতো হয়নি। মায়ের কাছ থেকে শিখে নিয়ো। সাধারণত স্ত্রীরা এ ধরনের কথা মেনে নিতে পারেন না। শাশুড়ির সঙ্গে নিজের তুলনা করলে গুরুত্ব কমে যাচ্ছে কি না, এ ধরনের একটা জটিলতা তৈরি হয় তাঁর মধ্যে। তাই স্বামীকে মনে রাখতে হবে, যাঁর প্রশংসা তাঁর সামনে তাঁকে করুন। কাউকে ছোট করে নয়।
সাবেক প্রেমিকা বা স্ত্রী এই কাজ করত
সংসারে শান্তি চাইলে কখনোই সাবেক প্রেমিকা বা স্ত্রীর কথা মনে করিয়ে দেবেন না তাঁকে। অভিমানের বাষ্প এমন রূপ নেবে যে নিজেই নিশ্বাস নিতে পারবেন না। স্বস্তি চাইলে সব ভুলে যান।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.