ডেনিম থেকে শুরু করে লং জিন্স, বোরকা, কামিজ, ফতুয়া সব কিছুর সাথেই এই একবিংশ শতাব্দীর ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে মেয়েদের প্রথম পছন্দ স্কার্ফের ফ্যাশন বা স্কার্ফ ব্যবহৃত ফ্যাশন।বাহারি সব আকর্ষণীয় প্রিন্টে এসব স্কার্ফ তৈরী হচ্ছে সিল্ক, লিলেন, পিউর কটন, শিমার, জর্জেড আবার কখনও বা মিক্স টেক্সচারে।
ফ্যাশন হাউজগুলো তাই সাজিয়েছে তরুণীদের চাহিদা পূরণের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়ে আসা বর্ণিল প্রিন্টের স্কার্ফ দিয়ে। এইসব স্কার্ফ মূলত তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে কিন্তু অন্যান্য বয়সী মেয়েরাও এসব স্কার্ফ ব্যবহারে পিছিয়ে নেই । ট্রেন্ডি ফ্যাশন ট্রাই করতে রিস্ক এখন শুধুমাত্র টিনেজার’রা নিচ্ছেন না বরং সব বয়সী নারীরাই হয়ে উঠেছে ফ্যাশন পিপাসু।
আপনার স্কার্ফটা যদি হয় উজ্জ্বল মাল্টিকালারের তবে পরনের কাপড়টা একটু ম্যাট হলে পারফেক্ট দেখায়। দুটো একসাথে উজ্জ্বল রঙ হলে চোখের প্রশান্তি হারিয়ে যাবে। চোখ হয়ে উঠবে অস্থির। উপরের ছবিটি দেখুন, চোখের স্বস্তি অনুভব করুন। হালকা-গাঢ় রঙের মিশ্রনে সুন্দর কম্বিনেশন তৈরি হয়। যা অনেকই বুঝতে পারে না। দুটো গাঢ় রঙের উপস্থিতি একই সাথে হলে মনের অস্থিরতা বাড়তেই থাকবে। যদি দুটো হালকা রঙের উপস্থিতি থাকে তাহলে চোখ ও মনের উপর তেমন কোনো প্রভাবই ফেলতে পারবে না। অতিরিক্ত হলেও সমস্যা আবার একেবারে কিছুই হবে না; তাও ঝামেলার।
উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে একই ছবিতে কীভাবে হিজাব এবং স্কার্ফ একসাথে পড়া যায়। লক্ষ্য করুন এখানেও দুটো রঙের ভিন্নতা; নীল-কালোর কম্বিনেশন।
যারা পাশ্চাত্য ধাঁচে পোশাক পড়তে চান, লক্ষ্য করুন এই ছবিতেও গাঢ়-হালকার মিশ্রণ। এতে মুখশ্রীরে শ্রী বৃদ্ধি পাবে। সৌন্দর্যবোধ মন থেকে চোখ, আর চোখ থেকে মনের আয়নায় ফুটে উঠে। তাই সচেতন হোন ভেতরকার সৌন্দর্য নিয়ে। তবেই ফিরে পাবেন বাহ্যিক সৌন্দর্য।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.