ইমরুল কায়েসের ক্যারিয়ার সেরা শটটা দেখার সৌভাগ্য কী আপনার হয়েছে?
পায়ের চোটে ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছেন না। এমন অবস্থায় উইকেটে এসে প্রথম বলটাই বাউন্সার। টিম সাউদির সে বলটা কোনোমতে এড়ালেন। পরের বলটাই ছিল আরেকটি শর্ট বল। প্রায় এক পায়ে দাঁড়িয়ে থেকেই পুল করলেন ইমরুল। চার! এমন সাহসিকতা দেখিয়ে ব্যাট করতে নামা ইমরুল অপরাজিতই থাকলেন। অন্যপ্রান্তে সঙ্গীহারা হয়ে দেখলেন দল কীভাবে থেমে গেল ১৬০ রানে। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ৫৭ ওভারে মাত্র ২১৭ রান। নতুন করে ব্যাটিংয়ে নেমে কায়েস এরপর মেরেছেন আরও ২টি চার। পরে দুটিও টিম সাউদিকে, ফাইন লেগ দিয়ে। যে অবস্থায় নেমেছিলেন অন্য কোনো বোলারকে খেলার উপায়ও ছিল না। ঠিকমতো পাই ফেলতে পারছিলেন না, রান নেবেন, প্রান্ত বদল করে অন্য কোনো বোলারকে খেলবেন সে উপায় ছিল না। তবু ইমরুলের ওই চার সাহস দিয়েছিল দুই মিনিটের জন্য। রান নানিতে পারুন, উইকেটে টিকে থাকতে তো সমস্যা নেই। গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছিলেন স্টিভ ও’ কিফ। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে রান নেওয়ার উপায় ছিল না তাঁরও। তবু পিটার নেভিলের সঙ্গে ১৭৮ বলের জুটি গড়েছিলেন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই। ইমরুলের ওপর প্রান্তে তো সাব্বির ছিলেনই! কিন্তু এতক্ষণ সাহসিকতা আর ধৈর্যের চরম পরীক্ষা দেওয়া সাব্বিরই হতাশ করলেন। পরের ওভারের তৃতীয় বলটা ছিল অনেক-অনেক বাইরে। কিন্তু সে বলটাকে মাঠ ছাড়া করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড সাব্বির। অসাধারণ এক ইনিংসের করুণ পরিণতি। ঠিক ৫০ রানে আউট হলেন সাব্বির। একটু পরে ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে গেলেন শুভাশিস রায়ও। মুশফিকুর রহিম যে ব্যাটিংয়ে আর নামছেন না সেটা জানাই ছিল। ৩৬ রানে অপরাজিত থেকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ফিরতে হলো ইমরুলকে। সাহসিকতার গল্প লেখার সঙ্গী যে পেলেন না তিনি!
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.