এই প্রশ্নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তাগণ আঙুল তোলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) দিকে। তাহার যৌক্তিক কারণও রহিয়াছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্রকৌশল বিভাগ থাকিলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তাহা নাই। প্রাইমারি স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব পালন করিয়া থাকে এলজিইডি। বরাদ্দ আসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হইতে। স্পেসিফিকেশান অনুযায়ী মানসম্মত নির্মাণকাজ হইতেছে কিনা বা হইয়াছে কিনা, তাহা দেখিবার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নাই। যাহাদের নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ার নাই, তাহাদের পক্ষে মান যাচাই করা যে সম্ভব নহে, তাহা সহজেই অনুমেয়। এলজিইডির নিজস্ব কাজের পরিধি মোটেও কম নহে। ইহার বাহিরে তাহারা অন্য বিভাগের কাজ করিয়া দেয়। অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজ মানসম্মত না হইলে, দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সেই মন্ত্রণালয়ের ওপরই যে বর্তাইবে, তাহাতে আর সন্দেহ কী! আবার প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন বা সংস্কারের কাজ যদি তিন লক্ষ টাকা বা তাহার চাইতে কম বরাদ্দের হয়, তাহা হইলে সেই কাজটি সম্পন্ন করিয়া থাকে স্কুলের স্থানীয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.