বয়সের কোটা মাত্র চার। সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির সামনেই খেলছিল মেয়েটি। ছোট্ট এই শিশুটির ওপর নজর পড়ল এলাকার এক পরিচিতের। বিকৃত কামনা চেপে বসেছিল ঘাতকের মাথায়। চকোলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে বাড়ির অদূরে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় ওই দুর্বৃত্ত। তার বিকৃত চিন্তা এখানেই থেমে থাকেনি; সে আরও তিনজনকে সঙ্গী করেছিল। এরপর শুরু পৈশাচিকতা। সঙ্গীদের নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ওই পরিচিত। ভয়াবহ অত্যাচারের পর তাদেরই কেউ একজন ভারী কিছু দিয়ে শিশুর মাথা থেঁতলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে মারা যায় শিশুটি। প্রমাণ লুকাতে সামনের জলাতেই তার দেহ পুঁতে দেয় দুর্বৃত্তরা।
গত ৯ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল মুম্বাইয়ের আন্ধেরির আজাদনগর এলাকার শিশুটি। সারারাত আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও তার দেখা মেলেনি। পরদিনই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার।
পেশায় টেম্পোচালক শিশুর বাবা বলেন, ‘সেদিন সন্ধ্যার সময় বাড়ির বাইরেই খেলছিল আমার মেয়ে। এরপর আর তাকে দেখতে পাইনি।’
নিখোঁজ শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
আজাদনগর থানার এক শীর্ষ কর্মকর্তা মহেশ পাতিল বলেন, ‘গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খবর পাই- সামনের জঙ্গলের জলাতে মানুষের পায়ের অংশ চিবিয়ে খাচ্ছে একটি বিড়াল। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওটা একটি শিশুর দেহ। এরপর সেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।’
শিশুটিকে গণধর্ষণের পর এলাকা থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত চারজন। রোববার অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একজন এখনও পলাতক।
পুলিশি তদন্তে উঠে আসে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার পর এলাকারই একটি রেস্তোরাঁয় নিশ্চিন্তে মাছ-ভাত দিয়ে রাতের খাওয়া সারে পেশায় মজুর ওই চার দুর্বৃত্ত।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.