রৌদ্রোজ্জ্বল সকালটা গোমড়া মুখেই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই পড়ে গিয়েছিল দুই উইকেট। কিন্তু সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনটা শেষ হলো হাসিমুখে। ২ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে চার পরিবর্তন নিয়ে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট খেলতে নামা বাংলাদেশ। সবুজাভ ভাব দেখে যতটা ভয়ংকর মনে হচ্ছিল, উইকেট ততটা সাহায্যের হাত বাড়ায়নি পেসারদের দিকে। টসে জিতে প্রথমে বোলিং নেওয়াটাও তাই খুব একটা কাজে আসেনি স্বাগতিক দলের। তবে প্রথম থেকেই ভালো সুইং পাচ্ছিলেন টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টরা। কিন্তু সৌম্য-সাকিবের পাল্টা আক্রমণে একপর্যায়ে নিউজিল্যান্ডের পেসারদেরই অসহায় দেখাল। ১৬.৪ ওভারের অসমাপ্ত জুটিতে এ দুজন তুলেছেন ৯০ রান। এ সময়ে দুজনেই মেরেছেন ৭টি চার। দুর্দান্ত স্ট্রোক প্লেতে টেস্টে নিজের প্রথম ফিফটিও পেয়ে গেছেন সৌম্য। ৫২ রানে জিত রাভালের সুবাদে একবার জীবন ফিরে পাওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অপরাজিত আছেন ৬৪ রানে। অন্যপ্রান্তে সাকিবের রান ৩৯। এ দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়েই টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে ৪.৭৪ রেটে রান তুলল বাংলাদেশ। সবুজ উইকেটে সুইং কিংবা শর্ট বল কীভাবে সামলাতে হয় সেটা দুজনেই দেখিয়ে দিয়েছেন ভালোভাবে। তাতেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হয়ে গেছে বাংলাদেশের। আগের টেস্টেই মাহমুদউল্লাহ ও মুমিনুল হকের গড়া ৮৫ রানকে টপকে গেছেন সৌম্য-সাকিব। অবশ্য দিনের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন সৌম্য সরকার। টিম সাউদির প্রায় ইয়র্কার বলটি কোনোমতে ঠেকিয়ে প্রান্ত বদল করলেন। পরের বলটি ছিল শর্ট বল, লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে সে বল ছুঁয়ে গেল তামিম ইকবালের গ্লাভস। অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিষেকটা একদমই ভালো কাটল না তামিমের (৫)। তিনে নামা মাহমুদউল্লাহও খুব বেশিক্ষণ থাকলেন না। ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের ইচ্ছে দেখালেও বারবার ব্যাকফুটে ড্রাইভ করতে যাওয়ার মূল্য দিয়ে মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন মাত্র ১৯ রানে। বোল্টের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে মাহমুদউল্লাহ যখন ফিরছেন বাংলাদেশের রান তখন ৩৮।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.