প্রাকৃতিক দৃশ্য, সুন্দর স্থান ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের সব সময়ই আকৃষ্ট করে। বিশ্বের পর্যটকদের কাছে যে সব দারুণ আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে এই ছয়টির কথা না বললেই নয়। ইতিমধ্যে এসব স্থানে সবচেয়ে বেশি পর্যটকদের ভিড় জমে ওঠে। মুগ্ধ দৃষ্টিতে অপরূপ সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখার জন্য, মনকে প্রশান্ত করার জন্য পর্যটকরা পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে বেড়ায়।
অনেকেই আবার বলেন, আর যেখানেই যান না কেন ওখানে নয়। কারণ ব্যাপক খরচবহুল স্থান। এ ছাড়াও মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ তো রয়েছেই। তাই এসব স্থানের বিষয়ে সবাই একমত নাও হতে পারেন। কারণ অনেকের কাছে সুন্দর স্থান হলেও সেখানকার মানুষগুলো হয়তো বন্ধুসুলভ নয় বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কম অথবা খাবার মুখে দেওয়ার মতো নয় ইত্যাদি। তার পরও অনেকের নেতিবাচক মন্তব্য থাকলেও এখানে ছয়টি স্থানের কথা উল্লেখ করা হলো যার কথা না বললেই নয়।
১. দুবাই :
ইতিমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর হয়ে উঠেছে দুবাইয়ের বিমানবন্দর। তবে মনে রাখতে হবে, আকস্মিক ধুলিঝড়ের খবর না নিয়ে সেখান থেকে বের হওয়া উচিত নয়। তবে এখানে কেনাকাটার অভিজ্ঞতার তুলনা হয় না। আবার ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাইরের তাপমাত্রায় শপিং মলের ভেতরে রীতিমতো স্কেটিং করতে পারবেন। তবে একটিও সমস্যা, এখানকার পুরো বিষয় কৃত্রিম।
২. প্রাগ :
মধ্যযুগের স্থাপত্যশৈলী উপভোগ করতে চাইলে এই পুরো শহরটিতে যেতে পারেন। চেক রিপাবলিকের এই শহরটি কিছুটা ঘনবসতিপূর্ণ। তা ছাড়া ট্যুরিস্টদের পকেট কাটার জন্য কিছু পটেকমারও ঘোরাফেরা করে। তবে যারা এসব ঝামেলা এড়িয়ে চলবেন তারা শহরটির অদ্ভুত সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
৩. অ্যাসপেন :
এক পর্যটক তার ব্লগে লিখেছেন, অ্যাসপের বিশ্বের সবচেয়ে খরচবহুল শহরগুলোর একটি। এর পার্কিং খরচ বেশি, এখানকার হোটেল ভাড়া বেশি, এটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং এখানে ট্যুরিস্টদের দেখতেও পছন্দ করেন না স্থানীয়রা। রকি মাউন্টেনের এই শহরটি ম্যানহাটানের মতোই পর্বতপূর্ণ। আমেরিকার কলোরাডোর একটি শহর এটি। তবে যদি একা একা ছুটি উপভোগ করতে যান তবে উঁচু রকি পর্বত এবং সেখানে স্কেটিং দেখতে ভুলবেন না।
৪. ক্যানকান :
প্রচুর ট্যুরিস্ট এবং ঘনবসতিপূর্ণ স্থান এটি। এ মন্তব্য করেছেন গেটারুম ডট কমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং হোটেলসডটকমের সাবের প্রেসিডেন্ট বব ডায়েনার। ম্যাক্সিকো থেকে একটু আলাদা এক টুকরো স্থান এটি। ১৯৭০ এর আগে যখন এত উন্নয়ন হয়নি, তখনো এখানে বাড়িঘরের সংখ্যা হাতে গোনা যেত। ক্যানক্যানের দক্ষিণ উপকূলে বিস্ময়কর মায়ন সভ্যতার নিদর্শন দেখতে পারবেন। মায়ান সভ্যতার প্রায় পুরো নিদর্শন এখানেই পাবেন। এ ছাড়া ইউকাতান পেনিনসুলার অপরূপ সৌন্দর্যে মোহিত হবেন আপনি।
৫. বালি :
সাধারণ সমুদ্র সৈকত ইন্দোনেশিয়ার বালি। কিন্তু ভিন্ন আমেজ পাবেন। একটি সারং (নারী-পুরুষের ঐতিহ্যবাহী স্কার্ট) কিনুন, স্থানীয় একটি ব্যান্ডের গান শুনুন, হিন্দু প্যারেড উপভোগ করুন। আর সেখানে অস্ট্রেলিয়ানরা থাকলে তাদের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন। তারা ব্যাপক আনন্দ করেন এবং তাদের কাছে এটাই ক্যানকান।
৬. কি ওয়েস্ট :
উত্তর আমেরিকার ফ্লোরিডার একটি মনোমুগ্ধকর দ্বীপ কি ওয়েস্ট। বর্তমানে কিছু ক্রুজ শিপ আসে, তবে বড়া আকারের জাহাজ আসতে পারে না। তাই প্রতি বছরই এই চ্যানেলের সমুদ্রের নিচে খুঁড়তে হয়। পর্যটক ও ব্লগার মার্কাস অরবি লিখেছেন, প্রথম দিকে কি ওয়েস্ট অদ্ভুত সৌন্দর্যে ভরপুর থাকলেও এখন কিছুটা মেকি মনে হয়। এখানকার অনেক কিছুই কৃত্রিম হয়ে উঠছে। তবে সৈকতে বসে সূর্যাস্তের দৃশ্য অপূর্ব এবং অতুলনীয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.