প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলে-মেয়ের জীবন অনেক মূল্যবান। তারা বেঁচে থাকলে দেশে ও জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারবে। নিজেদের ধ্বংসের পথে ঠেলে দিবে, এটা কখনো হয় না। এটা চলতে পারে না।
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলো একটা মানুষকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দেয়। মাদকাশক্তি শুধু একজন মানুষ নয়, একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। সন্ত্রাস-আত্মঘাতী হলে বেহেস্তে যেতে পারে না। তাকে দোজখে যেতে হয়। এই পর্যন্ত যারা জঙ্গি পথে গেছে তারা কি খবর পাঠিয়েছে যে তারা বেহেস্তে গেছে? সেই খবরটা কেউ দিতে পারিনি।
তিনি বলেন, ‘অবাক লাগে, ইংলিশ মিডিয়ামে যারা পড়ে তার কীভাবে জঙ্গিও পথে যায়!’
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, খালেদা জিয়া হুমকি দিয়েছিলেন- ‘আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে ছাত্রদলই যথেষ্ট’। ছাত্রদল দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দেশকে ধ্বংস করা তাদের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু আমি ছাত্রলীগের হাতে কাগজ-কলম তুলে দিয়েছিলাম, বই তুলে দিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে সেনা আইন লংঘন করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি শুধু মেট্রিক পাস ছিলেন। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া মেট্রিকও পাস করতে পারেননি ফলে তাদের সময়ে শিক্ষার হার কমেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আমি বলতে চাই না অশিক্ষিতের হাতে দেশ পড়লে দেশের কী হয় পঁচাত্তরের পর তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে।
সারাদেশে নিজ নিজ এলাকায় নিরক্ষর মানুষ খুঁজে বের করে তাদেরকে অক্ষর জ্ঞান দেয়ার জন্য ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশেকে নিরক্ষরমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করা ছাত্রলীগের মতো আদর্শিক সংগঠন থাকলে কেউ বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে পারবে না। এজন্য জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের পড়তে হবে। এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে অসুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ১৯৭২ সালের পর থেকে যারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে সম্মাননা পদক ও উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সাবেক নেতারা পদক গ্রহণ করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.