প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচটা খেলতে একটু দেরিই হয়ে গেল আশিকুজ্জামানের। খুলনা বিভাগের মিডিয়াম পেসার অবশ্য শিরোনাম হলেন প্রথম ম্যাচেই। সাতক্ষীরা থেকে উঠে আসা ২৫ বছর বয়সী আশিক অভিষেকেই পেলেন ৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৩ ও কাল দ্বিতীয় ইনিংসে ৬। জিতেছে তাঁর দলও। বিকেএসপিতে বরিশালকে এক দিন হাতে রেখে ১০ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়েছে প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচটিও। ফতুল্লায় ঢাকা মহানগরকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। জয়টা অবশ্য সহজে আসেনি। ১০৫ রানের লক্ষ্য, দলকে ৬৩ রানে রেখেই সাজঘরে ঢাকা বিভাগের পাঁচ ব্যাটসম্যান। তাঁদের চারজনই বাঁহাতি পেসার আবু হায়দারের শিকার। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ৪৩ রান তুলে মহানগরের জয়ের স্বপ্ন ভেঙেছেন তাইবুর রহমান (২৭*) ও জাহিদুজ্জামান (১৬*)। এর আগে ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা মহানগর দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট ১২৫ রানে। ম্যাচে একটিও ফিফটি আসেনি কারও ব্যাট থেকেই। বিকেএসপিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১১ রান করেও খুলনাকে মাত্র ১২ রানের লক্ষ্য দিতে পারে বরিশাল। এই লক্ষ্য পেরোতে কোনো উইকেট হারায়নি খুলনা। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রান প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া মনির হোসেনের। বগুড়ায় সিলেটকে ৩৩০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে রাজশাহী। ৩ উইকেটে ৯২ রান নিয়ে দিন শুরু করা রাজশাহী দ্বিতীয় ইনিংসে করে ৩৪৪। সেঞ্চুরি পেয়েছেন ফরহাদ হোসেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফরহাদের ত্রয়োদশ সেঞ্চুরিটা ১৩২ রানের। আজ শেষ দিনে ৩০২ করতে হবে সিলেটকে, হাতে আছে ৯ উইকেট। সিলেটে ইনিংস হার এড়াতে লড়ছে চট্টগ্রাম। প্রথম ইনিংসে ১৮২ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৪৯ রান তুলেছে দলটি। রংপুরকে আবার ব্যাট করাতে আরও ১১৯ রান দরকার চট্টগ্রামের। সংক্ষিপ্ত স্কোর ঢাকা বিভাগ-ঢাকা মহানগর, ফতুল্লা ঢাকা মহানগর: ১৬৬ ও ৫৫.৫ ওভারে ১২৫ (মেহরাব ৩৯, সাদমান ২৮; শরীফ ৩/২৪, তাইবুর ২/১৩, শাহাদাত ২/২২)। ঢাকা বিভাগ: ১৮৭ ও ৩১.৫ ওভারে ১০৬/৫ (জয়রাজ ৩০, তাইবুর ২৭*; হায়দার ৪/৪২)। ফল: ঢাকা বিভাগ ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ শরীফ। বরিশাল-খুলনা, বিকেএসপি বরিশাল: ১৭১ ও ৪৬.৩ ওভারে ২১১ (মনির ৭০, আল আমিন ৩৭, তৌহিদুল ৩০; আশিকুজ্জামান ৬/৫৭, জিয়া ২/২৭, বিশ্বনাথ ২/৪৭)। খুলনা: ৩৭১ ও ১.৪ ওভারে ১৫/০ (মেহেদী ১১*)। ফল: খুলনা বিভাগ ১০ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আশিকুজ্জামান। রাজশাহী-সিলেট, বগুড়া রাজশাহী: ২০৪ ও ৯২.৫ ওভারে ৩৪৪ (ফরহাদ হোসেন ১৩২, জুনায়েদ ৭৮, মাইশুকুর ৩৮, সানজামুল ৩০; জায়েদ ৩/৭৭, খালেদ ২/৫২, রাহাতুল ২/৫২)। সিলেট:২১৯ ও ১১ ওভারে ২৮/১ (ইমতিয়াজ ১৮*; মুক্তার ১/১০)। চট্টগ্রাম-রংপুর, সিলেট রংপুর ১ম ইনিংস: ৪৫০। চট্টগ্রাম: ৫৮ ওভারে ১৮২ (ইরফান ৪৭, অভিষেক ২৮, সাইফউদ্দিন ২৫; সাদ্দাম ৩/৩৬, সোহরাওয়ার্দী ৩/৪৮, মাহমুদুল ২/১৩) ও ৫৬ ওভারে ১৪৯/৪ (পিনাক ৪৫, ইয়াসির ৩৯*; আরিফুল ২/১৬)।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.