দিন যায়, মাস যায়, বছর কাটে। তবু সোহরাওয়ার্দী কাপ ফুটবল আর মাঠে নামে না!
অথচ এই টুর্নামেন্টটা শুরু হওয়া জরুরি। সারা দেশ থেকে ফুটবলার তুলে আনার দুর্দান্ত এক সিঁড়ি এটা। একসময় জাতীয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামে অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্ট সাড়া ফেলত টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায়। তরুণেরা এই টুর্নামেন্টে নিজেকে তুলে ধরে যেত এগিয়ে। ঢাকা থেকে জেলা শহরে পা রাখতেন কোচরা। ক্লাবের জন্য তাঁরা খেলোয়াড় শিকার করতেন সোহরাওয়ার্দী কাপ থেকে। কিন্তু সেই দিন গত হয়েছে অনেক আগেই। টুর্নামেন্টটি হিমাগারে ঢোকে ২০০৮ সালে কাজী সালাউদ্দিন বাফুফের সভাপতির চেয়ারে বসারও আগে। গত ৯ বছরেও টুর্নামেন্টটি সেখান থেকে বেরোয়নি। সম্প্রতি জাতীয় দল ভুটানের কাছে হারের পর বাফুফের টনক নড়ে, অনূর্ধ্ব-১৯ বন্ধ টুর্নামেন্টটি আবার শুরু করতে নড়েচড়ে বসেন কর্মকর্তারা। গত মাসেই এটি আয়োজনের কথা বলেছিলেন সালাউদ্দিন। শুধু বয়স কমিয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ সোহরাওয়ার্দী কাপ করেন তিনি। যা-ই হোক না কেন ডিসেম্বরেও এটি করা যায়নি। গত ১০ ডিসেম্বর বাফুফে যে চার বছরের বর্ষপঞ্জি ঘোষণা করে, সেটিতে সোহরাওয়ার্দী কাপ শুরুর সময় ছিল ২৬ জানুয়ারি। কিন্তু আবারও টুর্নামেন্টটি পেছাচ্ছে। কবে মাঠে গড়াবে ঠিক হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রয়োজনীয় ৮০-৯০ লাখ টাকা কোত্থেকে আসবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করা যায়নি বলেই দেরি হচ্ছে। তা ছাড়া এখনো দলও চূড়ান্ত হয়নি। জেলাগুলোকে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে। ব্যতিক্রম কিছু না হলে হয়তো নিবন্ধনের সময় দু-একবার বাড়বে। টুর্নামেন্টটি তাই আরও পেছাবে। পেছানো মানেই বারবার সেই প্রশ্নটি সামনে এসে যায়, বাফুফে এত ঘটা করে বর্ষপঞ্জি ঘোষণা করে সেটি অনুসরণ করতে পারছে না কেন? যদিও দ্বিতীয় বিভাগ ও জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। তবে এই দুটি আয়োজনও নির্ধারিত সময়ের পর শুরু হয়েছে। অর্থাৎ সময়সূচি কোনোভাবেই ঠিক রাখা যাচ্ছে না। এটা শুধু বর্তমান ফেডারেশনের সমস্যা নয়, নির্ধারিত সময়ে খুব কম টুর্নামেন্ট মাঠে গড়িয়েছে। তবে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ দ্রুতই সোহরাওয়ার্দী কাপ মাঠে নামানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, ‘এই টুর্নামেন্টের জন্য ২৬ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময় আছে আমাদের হাতে। এর মধ্যেই টুর্নামেন্টটি হবে। আর্থিক দিকটা চূড়ান্ত না হওয়ায় একটু সময় নিতে হচ্ছে। ফরম্যাটেও একটু বদল এসেছে। তবে আশা করি, কয়েক দিনের মধ্যে প্রেস কনফারেন্স করে সব জানিয়ে দেওয়া হবে।’ এবার টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জেলায় জেলায় কোচ পাঠানো হবে। সেখানে তরুণদের ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে তবেই টুর্নামেন্ট শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে বাফুফে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.