বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম দিনে কাল দুই মাঠে দেখা গেছে দুই ছবি। বগুড়ায় দাপট দেখিয়েছেন বোলাররা। সিলেটে ছড়ি ঘুরিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। বগুড়ার সবুজ উইকেটে চার পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল। পরশু প্রথম আলোকে দলটির অধিনায়ক অলক কাপালি জানিয়েছিলেন, তাঁদের পেস আক্রমণ যথেষ্ট শক্তিশালী। কতটা শক্তিশালী, কাল ভালোই টের পেয়েছেন মধ্যাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা। দলের ১৫ রানে ইবাদত হোসেন ফিরিয়ে দেন ওপেনার শামসুর রহমানকে। তবে ইবাদত নন, মধ্যাঞ্চলের আসল সর্বনাশটা করেছেন আবু জায়েদ। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন ২৩ বছর বয়সী এই পেসার। ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে বিপিএলে আলো ছড়িয়েছেন। জাতীয় লিগেও অসাধারণ বোলিং করেছেন জায়েদ। সর্বশেষ যে তিনটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন, প্রতিটিতেই ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন। ধারাটা অব্যাহত থাকল কালও। জায়েদ ৩৭ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট। এ নিয়ে টানা চারবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন তিনি। ১৪০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসা মধ্যাঞ্চলের স্কোরটা ভদ্রস্থ করেছে নবম উইকেটে মোশাররফ হোসেন ও মোহাম্মদ শরীফের ৭০ রানের জুটি। মোশাররফ অপরাজিত ছিলেন ৪৬ রানে। ৪৪ রান করে শরীফ জায়েদের শিকার। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা অলআউট ২২৪ রানে। প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে পূর্বাঞ্চল। এখনো তারা পিছিয়ে ১২৯ রানে। সিলেটে হতাশায় দিন কেটেছে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের বোলারদের। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ২১০ রান তুলে দিন শেষ করেছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। আবদুর রাজ্জাকের বলে মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যাচ হওয়ার আগে জহুরুল ইসলাম করেছেন ৬৫ রান। নাঈম ইসলাম অপরাজিত ৫৪ রানে। সংক্ষিপ্ত স্কোর মধ্যাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল, বগুড়া মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৬৫.২ ওভারে ২২৪ (মোশাররফ ৪৬*, শরীফ ৪৪, তানভীর ২৬, তাইবুর ২২, সাইফ ১৯; জায়েদ ৫/৩৭, ইবাদত ২/৪২, সাকলাইন ২/৪৩, সাইফউদ্দিন ১/৩৮)। পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৯ ওভারে ৯৫/০ (লিটন ৬০*, মারুফ ৩২*; তানভীর ০/৯, মোশাররফ ০/১৩, শরীফ ০/১৫)। উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, সিলেট উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৯৩ ওভারে ২১০/৩ (জহুরুল ৬৫, নাঈম ৫৪*, ফরহাদ ৪৩, নাসির ৩৫*; জিয়া ১/২৮, সোহাগ ১/২৯, রাজ্জাক ১/৮২)।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.