গত ১০ ডিসেম্বর ফুটবলের বর্ষপঞ্জি ঘোষণা করেছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। দেড় মাস পর বাফুফে সভাপতি দাবি করলেন, কর্মসূচি সঠিক পথেই এগোচ্ছে। বর্ষপঞ্জিতে আছে অনেক কর্মপরিকল্পনা, কিন্তু সময়মতো তা শুরু হচ্ছে না। জাতীয় দলের বিদেশি কোচ নিয়োগ এখনো অনিশ্চিত। সোহরাওয়ার্দী কাপ পিছিয়ে গেছে। স্কুল ফুটবল শুরু হবে কবে, সেই নিশ্চয়তা নেই। যদিও এরই মধ্যে জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু হয়েছে। এই কদিনের কর্মসূচি নিয়ে সালাউদ্দিন সন্তুষ্ট, ‘সত্যি বলতে আমি আমার কাজে সন্তুষ্ট। আমি একজন লোভী মানুষ। আরও বেশি কিছু হলে বোধ হয় ভালো হতো। যেভাবে শুরু হয়েছে, তাতে আমি খুবই খুশি। কারণ জাতীয় দল বিকেএসপিতে অনুশীলন ক্যাম্পে রয়েছে। ওরা এখন যা করছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পেশাদার লিগও সফলভাবে শেষ করেছি। মক কাপে বাচ্চারা খেলে এসেছে। মেয়েরাও অনুশীলনের মধ্যে আছে। এই দলকে আগামী মাসে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর চেষ্টা করছি।’ বাফুফে ইদানীং সেভাবে পৃষ্ঠপোষক পাচ্ছে না। তবে সালাউদ্দিনের আশা, শিগগিরই পৃষ্ঠপোষক জোগাড় হবে, ‘আমরা কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ব্যক্তিগত ও আনুষ্ঠানিক দুভাবেই চেষ্টা করছি। কেউ কেউ সবুজ সংকেতও দিয়েছেন আমাদের।’ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে জুরিখে অনুষ্ঠেয় ফিফার ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভায় বাফুফের কর্মসূচি অনুমোদন হলে কিছু অর্থের সংস্থান হতে পারে। জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ সোহরাওয়ার্দী কাপ নিয়ে অনেক কথা বলেও বাফুফে জানুয়ারিতে সেটি শুরু করতে পারেনি। সালাউদ্দিন এই টুর্নামেন্টকে বলছেন জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, আর এটি শুরু করতে কেন বিলম্ব, দিয়েছেন সেই ব্যাখ্যা, ‘এখন জেলাগুলোর অবস্থা টুর্নামেন্ট করার পর্যায়ে নেই। টুর্নামেন্ট শুরু করলে দলগুলো ভালো করবে না। তবে এটি হবে। জেলাগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে কাজ চলছে।’ স্কুল চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে সালাউদ্দিনের কথা, ‘নতুন শিক্ষা বছরে শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত। স্কুলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নতুন সূচি নির্ধারণ করা হবে।’ তবে নির্ধারিত সময়ে শেখ কামাল ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট হবে বলেই জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.