প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, তার স্ত্রী পেপি সিদ্দিক, মেয়ে লিলা তুলি সিদ্দিক ও ছেলে কাইয়ুস মুজিব সিদ্দিককে (ববি-পেপি দম্পতির সন্তান) নিয়ে নিজ গ্রামের রাস্তায় ভ্যানে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ছবি: ইন্টারনেট
টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যানে করে গ্রাম ঘুরে দেখানো চালক ইমাম শেখকে বিমানবাহিনীতে চাকরি দেয়া হচ্ছে। রোববার সকালে তাকে যশোরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর গোপালগঞ্জের বাসভবনে সকালে বিমান বাহিনীর চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের কাছে ইমাম শেখকে দেয়া হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, সহসভাপতি শেখ রুহুল আমিন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় ফেরার আগে বেলা ১১টা থেকে ইমাম শেখের ভ্যানে চড়ে প্রায় ১৫ মিনিট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় নিজ এলাকা ঘুরে দেখেন।
তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত যান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভ্যানে ছিলেন ভাগ্নে (ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে) রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, তার স্ত্রী পেপি সিদ্দিক, মেয়ে লিলা তুলি সিদ্দিক ও ছেলে কাইয়ুস মুজিব সিদ্দিক।
কাইয়ুস মুজিবকে কোলে নিয়ে শেখ হাসিনা গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ভ্যান থামিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের কুশলাদির খোঁজ-খবর নেন।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফেরার পথে এই এক কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী রোভার স্কাউটের সবচেয়ে বড় সম্মিলন ১১তম জাতীয় রোভার মুট উদ্বোধনের জন্য বৃহস্পতিবার দু’দিনের সফরে গোপালগঞ্জ আসেন।
ওইদিন দুপুর থেকে শুক্রবার ঢাকা রওনা হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পৈতৃক বাড়িতে নিজের পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটান।
প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে না চাইতে সবকিছু পেয়ে যাওয়ার আনন্দে আত্মহারা ইমাম শেখের সব স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।
চাকরি পাওয়ার অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে আপ্লুত ইমাম শেখ বলেন, ‘স্বপ্নেও ভাবিনি এভাবে আমার একটি চাকরি হবে। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন আমার ভ্যানে না উঠলে হয়তো চাকরির স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যেতো।’
তিনি বলেন, ‘আমি এলাকার মুরুব্বিদের কাছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কথা শুনেছি। তিনি খুবই দয়ালু ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যে তাঁর পিতার মতো দয়ালু তার প্রমাণ পেলাম।’
ইমাম শেখ বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। দোয়া করি আল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘায়ু দান করুন।’
ইমাম শেখকে নিতে আসা বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, যোগ্যতা অনুসারে তাকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দরিদ্র ভ্যানচালক ইমাম শেখ প্রধানমন্ত্রীকে তার ভ্যানে করে টুঙ্গিপাড়া ঘুরিয়েছেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাকে বকশিস দেয়া হলেও তা নিতে রাজি হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘গরীব হলেও ইমাম শেখ কোনো লোভ করেনি। প্রধানমন্ত্রী তার কথা-বার্তা ও আচরণে খুশি হয়ে একটি চাকরি ব্যবস্থা করছেন। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। আশা করছি, এ চাকরির মাধ্যমে ইমাম শেখের পরিবারের দুর্দশা লাঘব হবে।’
তথ্যসূএ: ইন্টারনেট
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.