পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর হাতে খুন হলেন পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ী। গতরাতে পুলিশ বাসার খাটের নিচ থেকে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি, স্বামীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূসহ সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রায় সাত বছর আগে পুরান ঢাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জামিল আহমেদ ভালোবেসে বিয়ে করেন একই এলাকার মৌসুমী আহমেদকে। বিয়ের দুই বছর পর তাদের ঘরে আসে একটি কন্যা-সন্তান।
এলাকাবাসী ও নিকটজনদের দেয়া তথ্যমতে, প্রথম কয়েক বছর ঠিকঠাক চললেও সাম্প্রতিক সময়ে দেখা দেয় পারিবারিক কলহ। সোমবার সকালে জামিল কারখানায় না গেলে তার কর্মচারীরা বাসায় ফোন করে। তার স্ত্রীর বিভ্রান্তিকর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ জামিল হোসেনের বোনকে সঙ্গে নিয়ে রাতে তার বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় খাটের নীচে টেপে মোড়ানো বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রাতেই গৃহবধূ মৌসুমী আহমেদসহ সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এর সাথে পরকীয়ার বিষয় রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করলেও বিস্তারিত কিছুই পুলিশকে জানায় নি মৌসুমী। নিকটজনদের অভিযোগ, তিন মাস আগেও ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হাত-পা বেঁধে জামিলকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো মৌসুমী। হত্যায় ব্যর্থ হয়ে পরে তা ডাকাতির ঘটনা বলে ধামাচাপা দেয় সে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.